সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় ছিল ভারতীয় নৌবাহিনী। সংকেত এলেই ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে গুঁড়িয়ে দেওয়া হতো করাচি বন্দরে থাকা পাকিস্তানের যুদ্ধজাহাজগুলো। ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২২ এপ্রিল পাহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ শুরু করে। এর পাল্টা হিসেবে পাকিস্তান হামলা চালালে ভারতও তাদের বিভিন্ন জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। শুধু জঙ্গিঘাঁটিই নয়, ভারতীয় নৌবাহিনীর টার্গেট ছিল পাকিস্তানের যুদ্ধজাহাজও। এই হামলার জন্য আরব সাগরে আইএনএস বিক্রান্তের নেতৃত্বে প্রস্তুত ছিল ভারতীয় নৌবাহিনী। তাদের নিশানায় ছিল করাচি বন্দরে নোঙর করা পাকিস্তানি রণতরী ও ডুবোজাহাজ।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে আরও জানা যায়, ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি ভারত-রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি ‘কিলো’ ক্লাস সাবমেরিন থেকে ‘ক্লাব’ সিরিজের ল্যান্ড অ্যাটাক ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার জন্য প্রস্তুত ছিল ভারতীয় নৌবহর। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভারতীয় নৌবাহিনী হামলা চালালে পাকিস্তানের বেশিরভাগ যুদ্ধজাহাজই ধ্বংস হয়ে যেত। ভারতের চাপের কারণে পাকিস্তানি নৌবাহিনীর ফ্রিগেট, করভেট রণতরী এবং ডুবোজাহাজগুলো বন্দর থেকে বের হতে পারেনি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। চূড়ান্ত নির্দেশ না আসায় অবশ্য হামলা চালানো হয়নি।