আপনার উইন্ডোজ ১০ কি বাতিল হচ্ছে? ভারত সরকার যা সতর্ক করলো এবং আপনার করণীয়

আপনি যদি এখনও উইন্ডোজ ১০ (Windows 10) অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকেন, তবে এটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খবর। মাইক্রোসফট অক্টোবর ২০২৫ থেকে উইন্ডোজ ১০-এর জন্য সম্পূর্ণ অফিসিয়াল সাপোর্ট বন্ধ করে দিচ্ছে। অর্থাৎ, এই তারিখের পর ব্যবহারকারীরা আর কোনো নিরাপত্তা আপডেট বা প্রযুক্তিগত সহায়তা পাবেন না। এ বিষয়ে ভারত সরকার দেশের ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শও জারি করেছে।
ভারত সরকারের সংস্থা ‘ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’ (CERT-In) গত ২১শে জুন একটি অ্যাডভাইজরি জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে যে, যাদের কাছে উইন্ডোজ ১০ চালিত ডিভাইস আছে, তাদের সময় থাকতে উইন্ডোজ ১১ (Windows 11)-এ আপগ্রেড করা উচিত, যাতে সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত আপডেটগুলি পেতে পারেন। যদি কোনো সংস্থা বা ব্যক্তি তাৎক্ষণিকভাবে আপগ্রেড করতে না পারে, তবে তারা মাইক্রোসফটের “পেইড এক্সটেন্ডেড সিকিউরিটি আপডেট” পরিষেবা বেছে নিতে পারেন।
উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার চালিয়ে গেলে কী হবে এবং সমাধান কী?
যদি কোনো ব্যবহারকারী উইন্ডোজ ১০-এ রয়ে যান, তাহলে তাদের সিস্টেমের সাইবার হামলার ঝুঁকি বেড়ে যাবে। সাপোর্ট বন্ধ হয়ে গেলে, নিরাপত্তা আপডেট না পাওয়ায় সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়বে এবং হ্যাকাররা এমন ডিভাইসকে সহজেই টার্গেট করতে পারবে। বর্তমানে বিশ্বের ৬০% এরও বেশি উইন্ডোজ পিসি এখনও উইন্ডোজ ১০-এ চলছে। উইন্ডোজ ৭ থেকে ১০-এ আপগ্রেড করা সহজ ছিল, কিন্তু উইন্ডোজ ১১-তে টিপিএম ২.০ (TPM 2.0) চিপের আবশ্যকতা কোটি কোটি পুরনো সিস্টেমকে আপগ্রেড থেকে বাদ করে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবহারকারীদের কাছে নতুন পিসি কেনার বিকল্প ছাড়া আর কিছু থাকছে না।
উইন্ডোজ ১১ একটি নতুন সিস্টেম না হলেও, এতে প্রতিনিয়ত নতুন এআই (AI) টুলস যুক্ত করা হচ্ছে। এর ইন্টারফেস আগের চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয় ও আধুনিক। স্টার্ট মেনু এখন মাঝখানে রয়েছে এবং অনেক ঐতিহ্যবাহী ফিচার অ্যাপে রূপান্তরিত হয়েছে। এর পাশাপাশি, এর পারফরম্যান্সও আগের চেয়ে অনেক বেশি মসৃণ এবং রেসপন্সিভ। তাই, যদি আপনি উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারী হন, তাহলে এখনই পরিকল্পনা শুরু করুন। হয় আপনি উইন্ডোজ ১১ যুক্ত সিস্টেমে আপগ্রেড করুন, অথবা সম্ভব হলে পেইড সিকিউরিটি আপডেট প্ল্যান নিন। ডেটার সুরক্ষা এবং সিস্টেমকে নিরাপদ রাখতে এই পদক্ষেপটি অত্যন্ত জরুরি।