পাকিস্তানে ভয়ংকর বন্যা, পরিবারের ১৮ জন ভেসে গেল! উদ্ধার ৭টি মৃতদেহ, স্বাত নদীর তীরে হাহাকার

পাকিস্তানে ভয়ংকর বন্যা, পরিবারের ১৮ জন ভেসে গেল! উদ্ধার ৭টি মৃতদেহ, স্বাত নদীর তীরে হাহাকার

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে শুক্রবার স্বাত নদীতে আকস্মিক বন্যায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে একই পরিবারের ১৮ জন সদস্য ভেসে গেছেন। উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, এবং বাকি নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চলছে। রেসকিউ ১১২২-এর মহাপরিচালক শাহ ফাহাদ জানিয়েছেন যে, পাঁচটি ভিন্ন স্থানে উদ্ধার অভিযান চলছে, যেখানে ৮০ জন কর্মী অংশ নিচ্ছেন।

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এই পরিবারটি একটি পর্যটক দলের অংশ ছিল, যারা স্বাত অঞ্চল পরিদর্শনে এসেছিল। ওপরের অংশে প্রবল বৃষ্টির কারণে নদীর জলস্তর হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় পরিবারটি বন্যার কবলে পড়ে। স্থানীয় গণমাধ্যম অনুসারে, এই ঘটনাটি ফিজাগাত অঞ্চলে ঘটেছে, যেখানে দুটি পরিবারের সদস্যরা নদীর ধারে সকালের নাস্তা করছিলেন, তখনই হঠাৎ জলস্তর বাড়ায় অনেকে ভেসে যান। উদ্ধার অভিযান চলাকালীন তিনজনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, জল ছাড়ার খবর ছিল না!
একজন উদ্ধারকারী কর্মকর্তা জানান, “সকাল আটটা নাগাদ আমরা এই মানুষদের ডুবে যাওয়ার খবর পাই। বাইপাসে কিছু পর্যটক এসেছিলেন, যারা নদীর ধারে বসেছিলেন। এই মানুষদের জল ছাড়ার কোনো খবর ছিল না।” ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্বাতের ডেপুটি কমিশনার শাহজাদ মাহবুব জানান যে, সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, স্বাত নদী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের উত্তরাঞ্চলে প্রবাহিত একটি বারোমাসি নদী। এই অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টির কারণে বন্যা অনেক এলাকাকে গ্রাস করেছে, যার ফলে ডজনখানেক মানুষ আটকা পড়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন এবং উদ্ধারকারী দল নিখোঁজদের খোঁজে বড় আকারের অভিযান চালাচ্ছে।

কর্মকর্তারা জানান, উদ্ধারকাজ দ্রুত করতে সমস্ত সম্পদ ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রবল বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে ত্রাণ কাজও শুরু করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। এই দুর্ঘটনা পর্যটকদের জন্য একটি সতর্কতা যে বৃষ্টির মৌসুমে নদী ধারে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। প্রশাসন জনগণকে অনুরোধ করেছে যে তারা বন্যা কবলিত এলাকায় যাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং আবহাওয়ার খবর সম্পর্কে অবগত থাকুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *