ইরান-ইসরায়েল নয়, উত্তর কোরিয়ার নতুন যুদ্ধের ছায়া!”

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত এবং আমেরিকার বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান দিয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পর বিশ্বের নজর এখন পশ্চিম এশিয়ায়। কিন্তু আসল উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু এখন অন্যত্র। উত্তর কোরিয়া, যার হাতে ইতিমধ্যেই ৪০-৫০টি পারমাণবিক অস্ত্র এবং মার্কিন মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম আইসিবিএম ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, এই হামলাকে নিজের কৌশল তীব্র করার অজুহাত হিসেবে নিতে পারে। স্বৈরশাসক কিম জং উনের জন্য আমেরিকার এই আক্রমণ একটি স্পষ্ট বার্তা: পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়া নিরাপত্তা নেই। এটি তাকে তার পারমাণবিক কর্মসূচি আরও দ্রুত এগিয়ে নিতে উৎসাহিত করতে পারে, যা বিশ্বের জন্য নতুন বিপদের ইঙ্গিত দেয়।
এদিকে, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্ব পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। ইউক্রেন যুদ্ধে পিয়ংইয়ং রাশিয়াকে অস্ত্র ও সৈন্য সরবরাহ করেছে, আর বিনিময়ে রাশিয়া তাদের আধুনিক সামরিক প্রযুক্তি ও তেল দিয়েছে। এই সম্পর্ক এখন কেবল বাণিজ্য নয়, বরং একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বে রূপ নিচ্ছে, যার মধ্যে অস্ত্রের যৌথ উন্নয়ন ও সামরিক মহড়া অন্তর্ভুক্ত। এই পরিস্থিতিতে সিউল ও ওয়াশিংটনের উত্তেজনা বাড়ছে, কারণ উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ এখন প্রায় আসাম্ভব। ইরানের উপর আমেরিকার হামলা কিম জং উনকে ভীত করেনি, বরং তাকে আরও নিশ্চিত করেছে যে পারমাণবিক অস্ত্রই তার শক্তির চাবিকাঠি। এই নতুন গতিবিধি বিশ্বকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।