হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দিমিত্রি ইয়ারানোভ ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে পাঁচটি সাধারণ ওষুধের কথা উল্লেখ করেছেন, যা নিয়মিত সেবন করলে নীরবে হৃদয়ের ক্ষতি করতে পারে। তিনি সতর্ক করে বলেন, “আপনি কী খাচ্ছেন তা জানুন!” এই ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে NSAIDs (যেমন আইবুপ্রোফেন), কিছু কেমোথেরাপির ওষুধ, উদ্দীপক, পুরনো ডায়াবেটিসের ওষুধ এবং ডিকনজেস্ট্যান্ট। এই ওষুধগুলি ব্যথা উপশম, ক্যান্সার চিকিৎসা বা সর্দি-কাশির মতো সাধারণ সমস্যার জন্য ব্যবহৃত হলেও, দীর্ঘমেয়াদে এগুলি রক্তচাপ বাড়াতে, হৃদপিণ্ডের পেশী দুর্বল করতে বা হৃদযন্ত্রের ব্যর্থতার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ডাঃ ইয়ারানোভ পরামর্শ দেন, রোগীদের এই ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং চিকিৎসকের সঙ্গে বিকল্প নিয়ে আলোচনা করতে হবে।

NSAIDs দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে রক্তচাপ বাড়ায় এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কেমোথেরাপির ওষুধ, যেমন ডক্সোরুবিসিন, হৃদপিণ্ডের পেশী দুর্বল করে। উদ্দীপক ওষুধ, যা ADHD-এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে অ্যারিথমিয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। পুরনো ডায়াবেটিসের ওষুধ, যেমন রোজিগ্লিটাজোন, হৃদযন্ত্রের ব্যর্থতার সঙ্গে যুক্ত। এমনকি সাধারণ ডিকনজেস্ট্যান্টও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই তথ্য হৃদরোগে আক্রান্ত বা ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ডাঃ ইয়ারানোভ জোর দিয়ে বলেন, ওষুধ সেবনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং নিয়মিত হৃদযন্ত্রের পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।