ব্র্যাডফোর্ডে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনায়, হাবিবুর মাসুম নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী কুলসুমা আক্তারকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যার পর তিনি শান্তভাবে শহরের রাস্তায় হেঁটে চলে যাচ্ছেন। ২৬ বছর বয়সী মাসুম তার ২৭ বছরের স্ত্রীকে একটি মহিলা আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে প্রামে তাদের সাত মাসের শিশুসহ আক্রমণ করেন। আদালতে জানানো হয়, মাসুম তার স্ত্রীর ফোন ট্র্যাক করে এবং আশ্রয়কেন্দ্রের আশপাশে দিনের পর দিন ঘুরে বেড়ান। তিনি কুলসুমাকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠান এবং ভুয়া জিপি অ্যাপয়েন্টমেন্টের লোভ দেখিয়ে তাকে বাইরে বের করেন। ৬ এপ্রিল, ২০২৪-এ কুলসুমা আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বের হওয়ার পর মাসুম তাকে নৃশংসভাবে আক্রমণ করেন, কমপক্ষে ২৫ বার ছুরিকাঘাত করে এবং গলা কেটে ফেলেন।

প্রসিকিউটর স্টিফেন উড জানান, মাসুমের এই হত্যাকাণ্ড ছিল ঈর্ষা ও নিয়ন্ত্রণমূলক মনোভাবের ফল। বাংলাদেশে বিয়ে করা এই দম্পতি ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যে আসেন। মাসুম বারবার তার স্ত্রীকে হুমকি দেন এবং এর আগেও তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। কুলসুমা আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরিত হওয়ার পরও মাসুম তাকে ট্র্যাক করেন। হত্যার পর তিনি বাকিংহামশায়ারে পালিয়ে যান এবং ৯ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন। আদালতে মাসুম দাবি করেন, তিনি হত্যার কথা মনে করতে পারেন না এবং কুলসুমা নাকি তার সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তবে, প্রসিকিউটর এই দাবিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন। এই ঘটনা নারী নিরাপত্তা ও পারিবারিক সহিংসতার বিষয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।