যুদ্ধের ছায়ায় ভারতের উত্থান: মহাকাশে সোনার খনি!

বিশ্ব রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের উত্তেজনায় কাঁপছে, কিন্তু এই সংকটের মধ্যেই ভারতের জন্য অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। ভারতের বেসরকারি মহাকাশ সংস্থাগুলি অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড এবং পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলো থেকে রিকনেসান্স উপগ্রহের অর্ডার পেতে শুরু করেছে। ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে এই দেশগুলো মহাকাশ থেকে শত্রুপক্ষের গতিবিধি নজরদারির জন্য উপগ্রহের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে। ভারতের অনেক দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতার কারণে ভারতীয় সংস্থাগুলি এই চাহিদা পূরণে এগিয়ে রয়েছে। এই সুযোগ ভারতকে মহাকাশ খাতে বিশ্ব বাজারের একটি শক্তিশালী খেলোয়াড়ে পরিণত করতে পারে।
মিন্টের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলফা ডিজাইন, অনন্ত টেকনোলজিস, দিগন্তরা এবং গ্যালাক্সআই স্পেসের মতো ভারতীয় সংস্থাগুলি ৫ থেকে ২৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি পাচ্ছে। ২০২০ সালে IN-SPACE প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভারতের মহাকাশ খাতে বেসরকারি কো ম্পা নির অংশগ্রহণ বেড়েছে। স্কাইরুট অ্যারোস্পেস, অগ্নিকুল কসমস এবং পিক্সেল বেলাট্রিক্সের মতো স্টার্টআপগুলি উৎক্ষেপণ যান এবং নজরদারি উপগ্রহ তৈরিতে কাজ করছে। বর্তমানে ভারতের মহাকাশ অর্থনীতি ৮.৪ বিলিয়ন ডলার, যা ২০৩৩ সালের মধ্যে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্ববাজারে ভারতের অংশীদারিত্ব বর্তমানে ২ শতাংশের কম, তবে ২০৩৩ সাল নাগাদ এটি ৭-৮ শতাংশে উন্নীত হবে। এই বৃদ্ধি ভারতকে মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে পরবর্তী বড় শক্তিতে পরিণত করতে পারে।