দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজে ২৪ বছরের এক ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জির মন্তব্য তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। শ্রীরামপুরের এই সাংসদ বলেন, “একজন বন্ধু যদি বন্ধুকে ধর্ষণ করে, তাহলে কী করা যায়? স্কুলে কি পুলিশ থাকবে?” এই মন্তব্যকে বিজেপি “লজ্জাজনক” আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা করেছে। ব্যানার্জি অভিযুক্তদের তৃণমূলের সঙ্গে যোগসূত্র অস্বীকার করে বলেন, অপরাধ কোনো দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তিনি আরও বলেন, “যতক্ষণ পুরুষদের মানসিকতা এমন থাকবে, এই ঘটনা ঘটতেই থাকবে।” এই বক্তব্য প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতাকে এড়ানোর প্রচেষ্টা হিসেবে সমালোচিত হয়েছে। বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দিয়ে তৃণমূলের নীরবতা ভাঙার দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যায়, যখন প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে কলেজ প্রাঙ্গণে তিনজন—প্রাক্তন ছাত্র মনোজিৎ মিশ্র (৩১), জাইব আহমেদ (১৯) এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায় (২০)—একটি রক্ষীর ঘরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। ভুক্তভোগীর অভিযোগে বলা হয়েছে, মিশ্র তাকে যৌন নির্যাতন করেন, অন্যরা সহায়তা করে এবং হকি স্টিক দিয়ে আঘাত করে মৃত্যুর হুমকি দেয়। চিকিৎসা পরীক্ষায় নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এবং তাদের মোবাইল ফোন থেকে সম্ভাব্য ভিডিও প্রমাণ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তৃণমূল নেতা শশী পাঁজা বলেছেন, অভিযুক্তদের ছাড় দেওয়া হবে না, তবে বিজেপি তৃণমূলের রাজনৈতিক যোগসূত্রের অভিযোগ তুলে ঘটনাটিকে রাজনৈতিক রঙ দিয়েছে।