নির্বাচন কমিশনের নতুন ভোটার তালিকা সংশোধন নির্দেশিকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন সরব হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন। তাঁর দাবি, বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে ২০২৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তারা ৪৬ থেকে ৪৯টি আসন জিততে পারে। এই নির্দেশিকাকে তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই নির্দেশিকার বিরোধিতা করে বলেছেন, এটি এনআরসি প্রক্রিয়ার সঙ্গে তুলনীয় এবং বাংলাকে টার্গেট করার একটি চক্রান্ত। তাঁর মতে, বিহারের নাম করে কমিশন আসলে বাংলার ভোটারদের উপর নজর রাখছে। এই নিয়মে ভোটারদের জন্মস্থান ও নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ‘সেল্ফ অ্যাটেস্টেড ডিক্লারেশন’ জমা দিতে হবে, যা তৃণমূলের নেতারা সন্দেহের চোখে দেখছেন।

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে জন্মগ্রহণকারী ভোটারদের জন্মতারিখ ও জন্মস্থানের তথ্য ফর্মে পূরণ করতে হবে। ১৯৮৭ থেকে ২০০৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে জন্মগ্রহণকারীদের নিজের এবং পিতামাতার একজনের জন্মস্থানের নথি জমা দিতে হবে। ২০০৪ সালের পরে জন্মগ্রহণকারীদের ক্ষেত্রে নিজের এবং পিতামাতা উভয়ের নথি প্রয়োজন। কমিশনের দাবি, এই পদক্ষেপ অবৈধ ও অযোগ্য ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য। তবে ডেরেক ও মমতার অভিযোগ, এই নিয়ম বাংলার ভোটারদের হেনস্থা করার একটি অজুহাত মাত্র। এই বিতর্ক আগামী দিনে রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন ঝড় তুলতে পারে।