মন্দির ভাঙায় ইউনূসের অভিযোগ, হিন্দুদেরই দোষ!

মন্দির ভাঙায় ইউনূসের অভিযোগ, হিন্দুদেরই দোষ!

ঢাকার খিলক্ষেতে দুর্গামন্দির ভাঙার ঘটনায় ভারতের তীব্র প্রতিবাদের পর বাংলাদেশের ইউনূস সরকার এই ঘটনার জন্য স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়কেই দায়ী করেছে। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, মন্দিরটি বাংলাদেশ রেলওয়ের জমিতে অনুমতি ছাড়াই নির্মিত হয়েছিল। ২০২৪ সালের দুর্গাপুজোর সময় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় রেলওয়ের জমিতে অস্থায়ী পুজো মণ্ডপ তৈরি করেছিল, যা চুক্তি অনুযায়ী পুজো শেষে সরিয়ে ফেলার কথা ছিল। কিন্তু আয়োজকরা চুক্তি লঙ্ঘন করে মণ্ডপটি স্থায়ীভাবে রেখে দেয় এবং সেখানে কালীর মূর্তি স্থাপন করে। মন্ত্রকের দাবি, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বারবার সতর্ক করলেও আয়োজকরা মণ্ডপটি সরায়নি, যার ফলে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকারি জমি পুনরুদ্ধারের জন্য এটি একটি নিয়মিত প্রশাসনিক কাজ বলেও দাবি করেছে মন্ত্রক।

ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে জানিয়েছে, মন্দির ভাঙার পেছনে মৌলবাদী শক্তির হাত রয়েছে এবং ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার তাদের পক্ষপাত করছে। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, মন্দিরটিকে অবৈধ বলে চিহ্নিত করে এবং মূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করে ভাঙার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে বলে ভারত হতাশা প্রকাশ করেছে। এদিকে, বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে পরামর্শ করে মন্দিরের প্রতিমা বালু নদীতে শ্রদ্ধার সঙ্গে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *