শিউরে ওঠা তথ্য: নির্যাতিতার শরীরে কামড়, যৌনাঙ্গে ক্ষত

কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন, এবং মেডিক্যাল রিপোর্টে উঠে এসেছে পাশবিক অত্যাচারের চিত্র। নির্যাতিতার গলায় ও স্তনে কামড়ের দাগ, শরীরে মারধরের চিহ্ন এবং যৌনাঙ্গে আঘাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন যে, ছাত্রীটিকে বলপূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে, শরীরে কোনও ‘ফরেন বডি’ পাওয়া যায়নি। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তাঁকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছিল এবং ধর্ষণের সময় দুই অভিযুক্ত পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৫ জুন রাতে, যখন তাঁকে প্রথমে ইউনিয়ন রুমের ওয়াশরুমে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে গার্ড রুমে ধর্ষণ করা হয়।
মূল অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের এক প্রভাবশালী নেতা এবং কলেজের অস্থায়ী কর্মী, যিনি দুই সহযোগীর সঙ্গে এই জঘন্য কাণ্ড ঘটিয়েছেন। পুলিশ তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে। নির্যাতিতার বয়ানে উঠে এসেছে, ধর্ষণের সময় তিনি প্রাণপণে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু প্যানিক অ্যাটাক ও শ্বাসকষ্টের মধ্যেও অভিযুক্তরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। পরে একটি ইনহেলার দেওয়া হলেও, তাঁকে গার্ড রুমে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় এবং ভিডিয়ো রেকর্ড করে ব্ল্যাকমেইলের হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনা কলেজ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ও নারী সুরক্ষার প্রশ্ন তুলেছে।