যখনই দুটি দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয় বা চলতে থাকে, তখন পারমাণবিক অস্ত্রের প্রসঙ্গ আসাটাই স্বাভাবিক। দুটি দেশের যুদ্ধে প্রায়শই পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের হুমকি দেওয়া হয়। সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাতের সময়ও পারমাণবিক হুমকির কথা শোনা গিয়েছিল। এরপর যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়, তখনও পারমাণবিক বোমার কথা উঠেছিল। এখন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ আমেরিকার কথা বলি। আমেরিকার কাছে বিপুল সংখ্যক পারমাণবিক বোমা রয়েছে, কিন্তু তারা এগুলো কোথায় লুকিয়ে রেখেছে?

কেন অন্য দেশে পারমাণবিক অস্ত্র লুকানো হয়?
আমেরিকার কাছে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে; এক্ষেত্রে রাশিয়া প্রথম স্থানে আছে। আমেরিকার কাছে প্রায় ৫২০০ পারমাণবিক অস্ত্র আছে, তবে তারা সবগুলো নিজেদের দেশেই রাখেনি, বরং বিদেশেও লুকিয়ে রেখেছে। যে দেশগুলোতে আমেরিকা বা অন্য দেশ পারমাণবিক অস্ত্র লুকিয়ে রাখে, তাদের ‘নিউক্লিয়ার হোস্টিং কান্ট্রিজ’ বলা হয়। শক্তিশালী দেশগুলো এমনটা করে, যাতে প্রয়োজনে সেখান থেকেই অস্ত্রগুলো ব্যবহার করা যায়। এটি এক প্রকার শত্রু দেশকে সতর্ক করা যে, এই বড় দেশগুলো ক্রমাগত তাদের অস্ত্রের ভাণ্ডার বাড়াচ্ছে।

আমেরিকা কোথায় কোথায় পারমাণবিক বোমা লুকিয়ে রেখেছে?
আমেরিকা তাদের পারমাণবিক অস্ত্র জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ইতালি, বেলজিয়াম এবং তুর্কিয়েতে লুকিয়ে রেখেছে। এই দেশগুলো আমেরিকার ‘নিউক্লিয়ার শেয়ারিং’ ব্যবস্থার অংশ। এর অধীনে এই দেশগুলোতে আমেরিকান পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, কিন্তু সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ আমেরিকার কাছেই থাকে। এটি এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে একটি পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ তার অস্ত্র অন্য দেশে মোতায়েন করে, কিন্তু সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছেই রাখে।

এই দেশগুলোতে পারমাণবিক বোমা কোথায় লুকানো আছে?
আমেরিকা ন্যাটোর সহযোগিতায় তাদের অস্ত্রগুলো ভাগ করে নিয়েছে। আমেরিকা যেসব দেশে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে, সেই অস্ত্রগুলো মার্কিন বিমানবাহিনীর ঘাঁটিগুলোতে অবস্থিত। অন্য কোনো দেশ কোনোভাবেই এই অস্ত্রগুলো ব্যবহার করতে পারবে না।