‘আমি তোমাকে খারাপভাবে হারিয়েছি, আবার ইরানে বোমা…’ ট্রাম্পের খামেনেইকে হুঁশিয়ারি, আবার কি যুদ্ধ হবে?

ওয়াশিংটন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ইরানের প্রতি কঠোর মনোভাব দেখিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, তেহরান যদি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কার্যকলাপ চালিয়ে যায়, তাহলে আমেরিকা সামরিক পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না। ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্প স্পষ্টভাবে বলেছেন, “কোনো দ্বিধা ছাড়াই, আমরা আবারও পদক্ষেপ নিতে পারি।”
এই বিবৃতি এমন এক সময়ে এসেছে যখন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেই সম্প্রতি আমেরিকার বিরুদ্ধে একটি বড় জয়ের দাবি করেছিলেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেছেন যে, ইরান অতীতে আমেরিকার কাছে পরাজিত হয়েছে এবং এখন তারা আবারও আন্তর্জাতিক আলোচনার চেষ্টা করছে।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ট্রাম্পের দাবি
ট্রাম্প দাবি করেছেন যে, আমেরিকা এবং ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানে ইরানের তিনটি প্রধান পরমাণু ঘাঁটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেছেন যে, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (IAEA)-এর মতো আন্তর্জাতিক পরিদর্শন সংস্থাগুলো এই স্থানগুলির বর্তমান অবস্থা নিজে গিয়ে মূল্যায়ন করতে পারে।
তবে, ইরানের সংসদ সম্প্রতি IAEA-এর পরিদর্শনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব পাশ করেছে, যার ফলে এই ইস্যুতে স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের কড়া বক্তব্য
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ ট্রাম্প খামেনেইয়ের বক্তব্যকে “মিথ্যা এবং উস্কানিমূলক” বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি আরও দাবি করেছেন যে, তিনি এর আগে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানকে তেহরানে হামলা চালানোর অনুমতি দিতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই পরিকল্পনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
ট্রাম্প বলেছেন যে, তারা ইরানের উপর আরোপিত কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কথা ভাবছিলেন, কিন্তু খামেনেইয়ের “নেতিবাচক এবং ভুল বক্তব্যের” পর তিনি এই ধারণা বাতিল করে দিয়েছেন।
ইরানের প্রতি আমেরিকার অবস্থান এবং ভবিষ্যৎ পথ
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, যদি তিনি আবার ক্ষমতায় আসেন, তাহলে ইরানের সঙ্গে আমেরিকার নীতি আরও কঠোর হতে পারে। ট্রাম্প বলেছেন যে, ইরান যদি আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে না চলে এবং পরমাণু অস্ত্রের দিকে এগোয়, তাহলে তার ভবিষ্যৎ “গুরুতর বিপদের” মধ্যে পড়বে।