চীন বন্ধু পাকিস্তানকে দিল বড় ধাক্কা, এই অস্ত্র দিতে অস্বীকার; শাহবাজ শরীফ চিন্তিত

চীন পাকিস্তানের হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং এর তৈরির প্রযুক্তি (ToT) চেয়ে করা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, চীন স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, তাদের এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বর্তমানে রপ্তানির জন্য উপলব্ধ নয় এবং এমন কোনো সংস্করণও তৈরি হয়নি যা অন্য দেশকে দেওয়া যেতে পারে।
পাকিস্তান কেন এই ক্ষেপণাস্ত্র চেয়েছিল?
পাকিস্তান এই ক্ষেপণাস্ত্র চেয়েছিল যাতে তারা ভারতের দ্রুত বর্ধনশীল ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি এবং হাইপারসোনিক সিস্টেমের মোকাবিলা করতে পারে। ভারত ইতিমধ্যেই HSTDV-এর মতো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছে, যা অত্যন্ত দ্রুত এবং উন্নত। চীনের অস্বীকারের দুটি প্রধান কারণ উল্লেখ করা হচ্ছে। প্রথমত, পাকিস্তানের কাছে ইতিমধ্যেই থাকা চীনা অস্ত্রের কার্যকারিতা প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল প্রমাণিত হয়েছে। দ্বিতীয়ত, চীনের আশঙ্কা যে পাকিস্তান এই প্রযুক্তি পশ্চিমা দেশগুলির সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারে। যদিও পাকিস্তান এর আগেও চীন থেকে যুদ্ধবিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পেয়েছে, তবে হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো সংবেদনশীল প্রযুক্তির বিষয়ে চীন আস্থা দেখায়নি।
হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র রপ্তানি করতে চায় না চীন
প্রতিরক্ষা ওয়েবসাইট অনুসারে, চীন তাদের অন্যান্য অস্ত্র যেমন J-10CE যুদ্ধবিমান বা HQ-9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের জন্য বিশেষ রপ্তানি সংস্করণ তৈরি করে, কিন্তু হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র এত উন্নত এবং সংবেদনশীল যে তারা এগুলো বাইরে পাঠাতে চায় না। চীনের নীতি হলো, যেসব অত্যন্ত আধুনিক এবং শক্তিশালী অস্ত্র বিশ্ব ভারসাম্যকে বিঘ্নিত করতে পারে, সেগুলো অন্য দেশকে না দেওয়া।
পাকিস্তান চীনের সাহায্যে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কিনতে এবং নিজেদের দেশে তৈরি করতে চেয়েছিল, কিন্তু চীনের এই অস্বীকার তাদের জন্য একটি বড় ধাক্কা। এর ফলে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সমকক্ষ হওয়ার প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। সূত্র অনুযায়ী, চীন হাইপারসোনিক প্রযুক্তিকে তাদের কৌশলগত নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ মনে করে, বিশেষ করে আমেরিকা এবং তার মিত্রদের বিরুদ্ধে। এই কারণেই তারা এত সংবেদনশীল ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি পাকিস্তানকে দিতে চায় না, কারণ এতে আন্তর্জাতিক চাপ এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়তে পারে।