এক-দুই হাজার টাকা দিন আর দম্পতির লাইভ দেখুন… ভার্চুয়াল জগতের অন্ধকার বাস্তবতা

সাধারণ দেখতে মানুষও বর্তমান সময়ে অনলাইনে দ্রুত বেশি টাকা উপার্জনের লোভে এমন বিপজ্জনক পথে পা বাড়াচ্ছে, যেখান থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন। এমনই কিছু করেছে একটি দম্পতি।
আসলে, স্বামী তার স্ত্রীর সাথে মিলে মোবাইল অ্যাপে যৌন কার্যকলাপের লাইভ স্ট্রিমিং করত। এটি ছিল একটি অ্যাডাল্ট কনটেন্ট র্যাকেট, যেখানে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই জড়িত ছিল। স্বামীর বয়স ৪১ এবং স্ত্রীর ৩৭ বছর। তদন্তের সময় জানা গেছে যে অভিযুক্ত ব্যক্তি পেশায় ক্যাব চালক। পুলিশের মতে, দ্রুত এবং বেশি টাকা উপার্জনের জন্য তারা এই পথ বেছে নিয়েছিল। দম্পতি স্বীকার করেছে যে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজ শুরু করেছিল এবং তাদের গ্রাহকদের জন্য ভিডিও অন ডিমান্ড উপলব্ধ করত।
লাইভ স্ট্রিমিং ও আপত্তিকর জিনিসপত্র উদ্ধার
হায়দ্রাবাদের অম্বারপেট এলাকার মল্লিকার্জুন নগরে এক ভিন্ন চাঞ্চল্য দেখা যায়, যখন পুলিশের ইস্ট জোন টাস্ক ফোর্স হঠাৎ একটি বাড়িতে অভিযান চালায়। ঘরের ভিতরে যা পাওয়া যায়, তা দেখে সবাই হতবাক হয়ে যায়। হাই ডেফিনেশন ক্যামেরা, রেকর্ডিং ডিভাইস এবং লাইভ স্ট্রিমিংয়ের জন্য ব্যবহৃত অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস। এটি কোনো সিনেমার শুটিং ছিল না। বরং অপরাধের পর্দাফাঁসের জন্য পুলিশের অভিযান ছিল।
দম্পতি পুলিশকে জানায় যে তারা নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে মুখোশ ব্যবহার করত, যাতে তাদের আসল পরিচয় প্রকাশ না পায়। এই সবকিছু তারা এইচডি ক্যামেরায় রেকর্ড করত এবং তারপর মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে বিক্রি করত।
এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করে যে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অপরাধের পথ কতটা নিভৃতে প্রসারিত হচ্ছে। পুলিশ জানায় যে লাইভ ভিডিওর জন্য তারা দুই হাজার টাকা চার্জ করত। অন্যদিকে, রেকর্ড করা ক্লিপসের দাম ছিল ৫০০ টাকা। এই ভিডিওগুলো অ্যাপসের মাধ্যমে এমন লোকদের কাছে পাঠানো হতো, যারা টাকা দিতে প্রস্তুত থাকত। আশ্চর্যের বিষয় হল, এর মাধ্যমে স্বামী তার সাধারণ উপার্জনের চেয়ে বেশি টাকা আয় করত।
এই পুরো চক্র সম্পর্কে পুলিশকে তথ্য দেওয়া হয়েছিল, যার পরে তারা অভিযান চালিয়ে দুজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে যে ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যাক্টের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পুরো র্যাকেটের তদন্ত চলছে।