ইসরায়েলি হামলায় ইরানে মোট ৬২৭ জন নিহত, ৪৯০০ আহত

ইসরায়েলি হামলায় নিহত সিনিয়র সামরিক কমান্ডার এবং বিশিষ্ট পারমাণবিক বিজ্ঞানীসহ ৬০ জনের সম্মানে শনিবার তেহরানে একটি ‘ঐতিহাসিক’ শেষকৃত্য অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানটি তেহরানের এঙ্গেলাব (বিপ্লব) স্কোয়ারে স্থানীয় সময় সকাল ৮:০০টায় শুরু হবে। প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে ‘আজাদী স্কোয়ার’-এ একটি বিশাল শেষকৃত্য শোভাযাত্রা বের করা হবে, যেখানে পরবর্তী আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। যাদের দাফন করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরিও রয়েছেন। জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC)-এর একজন প্রধান নেতা এবং সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেইয়ের পরে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদাধিকারী ছিলেন।
বাঘেরি এবং তেহরানচীর শেষকৃত্য
স্থানীয় গণমাধ্যম অনুসারে, বাঘেরিকে তার স্ত্রী ও কন্যার সাথে দাফন করা হবে। অন্যদিকে, পারমাণবিক বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচীকে তার স্ত্রীর সাথে দাফন করা হবে। সব মিলিয়ে, চারজন মহিলা এবং চারজন শিশুকে এই অনুষ্ঠানের সময় স্মরণ করা হবে। এটি উভয় দেশের শত্রুতার মধ্যে মানবিক ক্ষয়ক্ষতিকে তুলে ধরে।
সংঘাতের শুরু এবং ক্ষয়ক্ষতি
উভয় দেশের মধ্যে এই সংঘাত ১৩ জুন শুরু হয়েছিল। ইসরায়েল ধারাবাহিক হামলা শুরু করে দাবি করে যে, এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংস করা। ইসরায়েলি হামলায় ইরানের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এবং পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এতে রেভল্যুশনারি গার্ডের ৩০ জনেরও বেশি শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে কমান্ডার-ইন-চিফ হোসেইন সালামি এবং এর অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান আমিরআলী হাজিজাদেহ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, হামলায় কমপক্ষে ৬২৭ জন নিহত হয়েছেন, যখন প্রায় ৪,৯০০ জন আহত হয়েছেন।
গণশোকের আবহাওয়া
শেষকৃত্যে বিপুল সংখ্যক লোকের ভিড় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটিকে একটি গণশোক হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইরানি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এটিকে সাম্প্রতিক দিনগুলোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গণশেষকৃত্যগুলোর মধ্যে একটি বলে উল্লেখ করেছে। সরকার এই অনুষ্ঠানের আগে রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। এই অনুষ্ঠানে শীর্ষ রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতা, সামরিক কর্মকর্তা এবং হাজার হাজার নাগরিকের যোগদানের সম্ভাবনা রয়েছে।