ভারতীয় অর্থনীতি বৈশ্বিক অস্থিরতা সত্ত্বেও ভালো পারফর্ম করছে। অর্থ মন্ত্রকের মে ২০২৫-এর মাসিক ইকোনমিক রিভিউ অনুসারে, আর্থিক বছর ২৬-এর প্রথম দুই মাসের উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি সূচকগুলো এই ইঙ্গিত দিচ্ছে। শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা, কমতে থাকা মুদ্রাস্ফীতি, শক্তিশালী বাহ্যিক ক্ষেত্র এবং স্থিতিশীল কর্মসংস্থান পরিস্থিতির কারণে বৈশ্বিক অস্থিরতার সময়েও অর্থনীতি মজবুত রয়েছে।

ইকোনমিক রিভিউতে বলা হয়েছে, “আর্থিক বছর ২৬-এও ইতিবাচক প্রবণতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রাথমিক উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি সূচকগুলো (HFI) ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, অর্থনৈতিক কার্যকলাপ মজবুত থাকছে। ই-ওয়ে বিল জেনারেশন, জ্বালানি খরচ এবং পিএমআই (PMI) সূচকের মতো HFI ক্রমাগত শক্তির দিকেই ইঙ্গিত করছে।”

২০২৫ সালের শুরুতে বাণিজ্য উত্তেজনার বৃদ্ধি
গ্রামীণ চাহিদা আরও শক্তিশালী হয়েছে, যা রবি শস্যের ভালো ফলন এবং ইতিবাচক বর্ষার পূর্বাভাস থেকে সমর্থন পেয়েছে। শহুরে ভোগ ছুটির দিন এবং ব্যবসায়িক ভ্রমণে বৃদ্ধির কারণে সমর্থন পাচ্ছে। বিমান যাত্রীদের চলাচল এবং হোটেলগুলোতে মানুষের ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় এটি সহজেই দেখা যায়।

অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে যে, অভ্যন্তরীণ সূচকগুলো অনেকটাই ইতিবাচক ছিল, তবে বাহ্যিক ঘটনার ফলস্বরূপ আর্থিক বাজারগুলোতে অস্থিরতা দেখা গেছে। ২০২৫ সালের শুরুতে বাণিজ্য উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং এরপর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে আংশিক হ্রাস দেখা যায়।

সরকারকে রেকর্ড ডিভিডেন্ডের ঘোষণা
তবে, ভারতীয় সরকারি বন্ড বাজার মে মাসে স্থিতিশীলতা দেখিয়েছে, যা আরবিআই (RBI) দ্বারা সরকারকে রেকর্ড ডিভিডেন্ডের ঘোষণা এবং আর্থিক বছর ২৫-এর চতুর্থ ত্রৈমাসিকে শক্তিশালী বৃদ্ধির মতো কারণগুলো দ্বারা চালিত হয়েছিল। এর ফলে ৩০ মে পর্যন্ত ভারতের সরকারি বন্ডে ঝুঁকির প্রিমিয়াম কমে ১৮২ বেসিস পয়েন্ট হয়েছে।

রিভিউতে বলা হয়েছে যে, বাহ্যিক খাতে ভারতের মোট রপ্তানি (পণ্য ও পরিষেবা) মে ২০২৫-এ ২.৮ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধির হার রেকর্ড করেছে, যা শুল্কের অনিশ্চয়তা এবং দুর্বল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যেও আমাদের রপ্তানির মজবুতিকে তুলে ধরে।