আমেরিকা অভাবনীয় কাজ করেছে! F-18 এর ইঞ্জিন এবার ভারতে তৈরি হবে, যা শুনে চীন-পাকিস্তানের মাথা ঘুরবে!

ভারত এখন শুধু ফাইটার জেট উড়াবে না। ভারত এখন ফাইটার জেটের হৃদয়ও নিজেই তৈরি করবে। আর এটা কোনো ছোটখাটো হৃদয় নয়, বরং জেনারেল ইলেকট্রিক (GE)-এর F-414 টার্বোফ্যান ইঞ্জিন। এই সেই ইঞ্জিন যা আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেনের মতো দেশের যুদ্ধবিমানকে শক্তি যোগায়।
এখন সেই ইঞ্জিন ভারতেই তৈরি হবে। হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL)-এর কারখানায় ভারতীয় হাতে, ভারতীয় মাটিতে এর নির্মাণ হবে। এক সময় ছিল যখন আমেরিকা কাউকে তাদের সামরিক প্রযুক্তি স্পর্শও করতে দিত না। কিন্তু আজ HAL-এর চেয়ারম্যান ডিকে সুনীল বলছেন যে, ভারত এবং GE-এর মধ্যে F-414-এর প্রযুক্তি স্থানান্তরের ৮০ শতাংশ চুক্তি সম্পন্ন হবে। অর্থাৎ, ভারত এখন কেবল ইঞ্জিন পাবে না, বরং ভারত সেই প্রযুক্তি পাবে যা দিয়ে ইঞ্জিন তৈরি হয়। এটি শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের চুক্তি নয়, বরং আমেরিকার আস্থার মোহর।
F-414 কেন এত জরুরি?
F-414 ইঞ্জিনটি GE 404-এর উন্নত সংস্করণ, যা ১৯৭০-এর দশকে তৈরি করা হয়েছিল। বিশেষ করে, এই ইঞ্জিনটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমেরিকার জেট বিমানগুলিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই একই ইঞ্জিন যা আমেরিকার F-18 সুপার হর্নেটের মতো জেটগুলিতে ব্যবহৃত হয়। এর শক্তি ২২ হাজার পাউন্ড থ্রাস্ট (thrust)।
কীভাবে রাজি হলো আমেরিকা?
GE-এর F-414 ইঞ্জিন ভারতে তৈরির পরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ২০২৩ সালের আমেরিকা সফরের সময় তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, প্রযুক্তি শেয়ার করা নিয়ে আলোচনায় দেরি হয়েছিল। তাই এই প্রকল্পে কিছুটা সময় লেগেছে। এটি চীন-পাকিস্তানের মতো ভারতের শত্রুদের মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে। ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে ইঞ্জিন নিয়ে চুক্তি হতে চলেছে। GE-এর F-414 ইঞ্জিন তেজস Mk2 এবং AMCA-এর মতো বিমানকে শক্তি দেবে। তেজস AESA রাডার দিয়েও সজ্জিত হবে, যা এটিকে অত্যন্ত শক্তিশালী করে তুলবে।