ইরান কি হুথি বিদ্রোহীদের ধ্বংসের অস্ত্রশস্ত্র দিচ্ছে? ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা নিয়ে বড়সড় রহস্য ফাঁস

ইয়েমেনে ইরানের ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপ নিয়ে আবারও গুরুতর সতর্কতা সামনে এসেছে। ইয়েমেন সরকারের দাবি, ইরান এখন হুথি বিদ্রোহীদের কেবল অস্ত্রই দিচ্ছে না, বরং তাদের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন কারখানাগুলোই সেখানে স্থানান্তরিত করছে।
মনে করা হচ্ছে যে, এই কারখানাগুলো সাদা, হাজ্জা এবং রাজধানী সানা-এর আশেপাশে স্থাপন করা হচ্ছে। এর ফলে শুধুমাত্র ইয়েমেনের পরিস্থিতিই খারাপ হবে না, বরং পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল এবং বৈশ্বিক সামুদ্রিক বাণিজ্যের উপরও সংকট আরও গভীর হতে পারে।
হুথিরা পাচ্ছে ইরানের প্রযুক্তি
ইয়েমেনি কর্মকর্তাদের মতে, হুথি বিদ্রোহীদের এখন শুধুমাত্র পুরনো অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে না, বরং তারা উন্নত ব্যালিস্টিক এবং হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিও পাচ্ছে। সম্প্রতি ইরান যে ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেছে, হুথিরাও সেই ধরনের সিস্টেম ব্যবহার করে প্রতিবেশী দেশ এবং সামুদ্রিক পথে হামলা চালিয়েছে। এতে স্পষ্ট যে, অস্ত্র সরবরাহের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ এবং অপারেশন পর্যন্ত পুরো চিত্রনাট্য তেহরান থেকে লেখা হচ্ছে।
বৈশ্বিক সামুদ্রিক পথে বিপদ ঘনীভূত হচ্ছে
এডেন উপসাগর এবং লোহিত সাগরের মতো কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক রুটগুলো ইতিমধ্যেই উত্তেজনার মধ্যে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যদি ইরান সত্যিই ইয়েমেনকে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ঘাঁটিতে রূপান্তরিত করে, তবে এটি কেবল মধ্যপ্রাচ্যের জন্যই নয়, বরং পুরো বিশ্বের সরবরাহ চেইন এবং জ্বালানি বাণিজ্যের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। মার্কিন কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন যে, হুথি বিদ্রোহীরা নিকট ভবিষ্যতে আমেরিকার জন্যও একটি স্থায়ী মাথাব্যথা হয়ে উঠতে পারে।
হুথি বিদ্রোহীদের ‘দেশীয় প্রযুক্তি’ নিয়ে প্রশ্ন
হুথিরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে, তাদের কাছে যে অস্ত্র রয়েছে, সেগুলো দেশীয়ভাবে তৈরি। কিন্তু এখন যে প্রমাণগুলো সামনে আসছে, তা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, আসলে তাদের শক্তি ইরানের সাহায্যে তৈরি হয়েছে। হুথিদের দ্বারা গৃহীত অপারেশনাল কৌশল এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ধরণ হুবহু ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের মতো।