ছেলে দোষী হলে শাস্তি হোক: কসবা-কাণ্ডে অভিযুক্তের বাবার স্বীকারোক্তি!

কলকাতার কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে রাজ্যজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য। একটি কলেজের প্রথম বর্ষের আইনের ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্তরা হলেন কলেজের প্রাক্তন ছাত্র তথা চুক্তিভিত্তিক কর্মী মনোজিৎ মিশ্র, এবং বর্তমান ছাত্র জায়েব আহমেদ ও প্রমিত মুখোপাধ্যায়। এই ঘটনায় মুখ খুলেছেন মনোজিৎ-এর বাবা। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, “আমি প্রথমে ভারতীয়, তারপর বাবা। তদন্ত চলছে, আদালতের উপর আমার ভরসা আছে। আমার ছেলে দোষী প্রমাণিত হলে তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত।” নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, তাকে প্রথমে ইউনিয়ন রুমে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়, তারপর কলেজের নিরাপত্তারক্ষীর ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ইউনিয়ন রুমের বাইরে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশ সংগ্রহ করেছে, যা তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হতে পারে। এই ঘটনার প্রতিবাদে গড়িয়াহাট মোড় অবরোধ করে বিজেপি, এবং রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে আটক করা হয়।
বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে বলেন, “তাঁর শাসনে বিরোধীদের বিক্ষোভের অধিকার নেই, যেন হিটলারের শাসন চলছে।” তিনি তৃণমূল নেত্রী শশী পাঁজার নীরবতারও সমালোচনা করেন। অন্যদিকে, তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য অপরাজিতা বিলের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “এখানে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হয়, কিন্তু অন্যত্র ধর্ষকদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।” তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের আগমনকে “রাজনৈতিক পর্যটন” বলে কটাক্ষ করেন। শনিবার নির্যাতিতাকে আদালতে হাজির করা হয়। এই ঘটনা রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।