মমতার ইস্তফা দাবি সম্বিতের! কসবা কাণ্ডে উত্তাল বাংলা

কলকাতার সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তীব্র ক্ষোভ। অভিযোগ, কলেজের নিরাপত্তারক্ষীর ঘরে এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে তিন অভিযুক্ত—মনোজিৎ মিশ্র (প্রাক্তন ছাত্র ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক), জায়েব আহমেদ ও প্রমিত মুখোপাধ্যায় (বর্তমান ছাত্র) এবং এক নিরাপত্তারক্ষীকে। বিজেপি সাংসদ সম্বিত পাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফা দাবি করে বলেন, “আমরা কোনও সাফাই চাই না, মমতার ক্ষমা চাওয়া ও ইস্তফা প্রয়োজন।” ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি গড়িয়াহাট মোড় অবরোধ করে, যেখানে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে পুলিশ আটক করে। তিনি মমতার শাসনকে “হিটলারের মতো” বলে কটাক্ষ করেন। নির্যাতিতাকে আলিপুর কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়, এবং পুলিশ ইউনিয়ন রুমের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, ২৫ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০:৫০-এর মধ্যে কলেজ ক্যাম্পাসে এই ঘটনা ঘটে। মনোজিৎ তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, যা প্রত্যাখ্যানের পর তাকে ইউনিয়ন রNursing, washroom-এ টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে হকি স্টিক দিয়ে মারধরের হুমকি দেওয়া হয় এবং ধর্ষণ করা হয়। তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য অপরাজিতা বিলের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “এখানে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হয়, অন্যত্র ধর্ষকদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।” কুণাল ঘোষ বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে “রাজনৈতিক পর্যটক” বলে কটাক্ষ করেন। বিজেপি জেলায় জেলায় মশাল মিছিলের ডাক দিয়েছে, তবে রাজ্য বিজেপি সিবিআই তদন্তের দাবি না করে কলকাতা পুলিশের উপর ভরসা রাখার কথা জানিয়েছে।