স্বাদের লোভে কি মৃত্যুকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন? FSSAI এই ৫টি জিনিসকে ‘বিষ’ ঘোষণা করেছে, প্রস্তুত থাকুন ক্যানসার-ডায়াবেটিসের জন্য

চটপটা স্বাদ, চটজলদি তৈরি এবং দেখতেও দারুণ, আজকের এই দ্রুত গতির জীবনে আমাদের বেশিরভাগই এই ধরনের খাবারের প্রতি আকৃষ্ট। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে আমরা প্রতিদিন যে খাবারগুলো এত আগ্রহ নিয়ে খাচ্ছি, সেগুলোই আমাদের স্বাস্থ্যের সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে উঠতে পারে?
ভারতীয় খাদ্য সুরক্ষা ও মানক কর্তৃপক্ষ (FSSAI) সম্প্রতি এমন ৫টি জিনিসের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যা মানুষ চোখ বন্ধ করে খায়, কিন্তু যা স্বাস্থ্যের জন্য বিষের চেয়ে কম কিছু নয়।
সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, এই খাবারগুলো প্রতিটি বাড়ির রান্নাঘরেই থাকে এবং আমরা কোনো ভয় ছাড়াই তা শিশু থেকে বয়স্কদের সবাইকে খেতে দিই। কিন্তু এবার সত্যটা জানার সময় এসেছে, কারণ এই ‘সুস্বাদু বিষ’-এর সরাসরি সম্পর্ক ক্যানসার, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের মতো গুরুতর রোগের সঙ্গে রয়েছে। তাহলে কী কী এই ৫টি বিপজ্জনক জিনিস? আসুন, জেনে নিই পুরো সত্যিটা।
১. নুন, চিনি এবং তেল
FSSAI-এর মতে, নুন, চিনি এবং তেল অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া সবচেয়ে বড় বিপদ। অতিরিক্ত নুন উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে, যেখানে অতিরিক্ত চিনি ডায়াবেটিস ডেকে আনে। বারবার একই তেলে ভাজা খাবার শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ায়, যা থেকে হৃদরোগ হতে পারে।
২. ট্রান্স ফ্যাট
বাজারে পাওয়া বেকড আইটেম, প্যাকেজড স্ন্যাকস এবং কিছু ধরনের মার্জারিনে ট্রান্স ফ্যাট পাওয়া যায়। এই ফ্যাট শরীরে ‘নীরবে আক্রমণ’ করে এবং ধমনীগুলিকে ব্লক করে দেয়। এর ফলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।
৩. নিষিদ্ধ রং এবং বিষাক্ত উপাদান
FSSAI স্পষ্ট জানিয়েছে যে কিছু খাদ্য প্রস্তুতকারক সংস্থা দ্বারা ব্যবহৃত নিষিদ্ধ রং এবং রাসায়নিক ক্যানসারের কারণ হতে পারে। রঙিন মিষ্টি, চাট এবং ঠান্ডাই-এর মতো রাস্তার খাবারে এটি খুবই সাধারণ। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের জন্য এগুলি অত্যন্ত ক্ষতিকর।
৪. প্রক্রিয়াজাত খাবার (Processed Food)
ফ্রোজেন ফুড, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, প্যাকেজড মাংস এবং ক্যান্ড ড্রিংকস-এর মতো প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রিজারভেটিভ এবং নুনের পরিমাণ খুব বেশি থাকে। এগুলি শুধু কিডনি এবং লিভারের ওপরই প্রভাব ফেলে না, বরং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল করে দেয়।
৫. অস্বাস্থ্যকর স্ট্রিট ফুড এবং স্ন্যাকস
বাজারের তেলে ভাজা সিঙাড়া, কচুরি, ফুচকার মতো স্ন্যাকসের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই খাবারগুলো ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং দূষিত জলের সংস্পর্শে আসে, যার ফলে পেটের সংক্রমণ এবং ফুড পয়জনিং-এর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।