সংবিধান বদলের বিতর্ক! ধনখড়ের মন্তব্যে সঙ্ঘের পক্ষে সায়?
ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ নিয়ে ফের বিতর্ক উসকে দিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। তিনি বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনা অপরিবর্তনীয়, কিন্তু ১৯৭৬ সালে জরুরি অবস্থার সময় ৪২তম সংশোধনীর মাধ্যমে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’, ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘অখণ্ডতা’ শব্দ যুক্ত হয়েছিল। এই মন্তব্যের পর তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এই পরিবর্তন নিয়ে ভাবা উচিত। ধনখড়ের এই বক্তব্য আরএসএস নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলের সাম্প্রতিক দাবির সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। হোসাবলে বলেছেন, জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার অসাংবিধানিকভাবে এই শব্দগুলি যুক্ত করেছিল, যা বাদ দেওয়া উচিত। ১৯৭৫-৭৭ সালের জরুরি অবস্থাকে ‘গণতন্ত্রের অন্ধকারতম অধ্যায়’ বলে উল্লেখ করে তিনি এই শব্দগুলির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ধনখড়ের মন্তব্যকে অনেকে আরএসএস-এর দাবির সমর্থন হিসেবে দেখছেন।
এই বিতর্কের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস। ২০২৪ সালে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী-সহ কয়েকজন সুপ্রিম কোর্টে এই শব্দগুলি বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন, যা খারিজ হয়ে যায়। ধনখড়ের সাম্প্রতিক মন্তব্য এই বিতর্ককে নতুন করে জিইয়ে তুলেছে। আরএসএস-এর দাবি ছিল, জরুরি অবস্থায় গণতন্ত্রের উপর আঘাত হানা হয়েছিল, এবং সেই সময়ের সংশোধনী প্রশ্নবিদ্ধ। ধনখড়ের বক্তব্য এই দাবির সঙ্গে সুর মেলায় বলে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই ঘটনা সংবিধানের মৌলিক চরিত্র এবং ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের ভূমিকা নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে।