ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের সামরিক সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, ইসরায়েল ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি নিয়ে উঠেছে গুরুতর প্রশ্ন। তারা দাবি করেছিল, তেহরানে হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক নেতৃত্বের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু শনিবার তেহরানের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষের জানাজায় এমন কিছু মুখ দেখা গেছে, যাদের ইতিমধ্যে হত্যার দাবি করা হয়েছিল। ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের কুদস ফোর্স কমান্ডার ইসমাইল কানি এবং সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির নিরাপত্তা উপদেষ্টা আলী শামখানি, যাদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল, তারা জীবিত ও সুস্থ অবস্থায় জানাজায় উপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনা ইসরায়েল ও ট্রাম্পের দাবিকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই দাবিগুলোকে “মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর” বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

জানাজায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হওয়া জনতা শুধু শোক প্রকাশই করেনি, বরং জাতীয় প্রতিরোধের চেতনাও প্রকাশ করেছে। “বুম বুম তেল আবিব” স্লোগানে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের বার্তা দিয়েছে। সংঘাতে ইরানি সেনাবাহিনীর দুই নম্বর কর্মকর্তা মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, পরমাণু বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মেহেদি তেহরানচি এবং আইআরজিসি কমান্ডার হোসেইন সালামি নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। নিহতদের মধ্যে বেসামরিক নাগরিক, নারী ও শিশুও ছিল। এই ঘটনা তথ্যযুদ্ধের গুরুত্ব এবং পশ্চিম এশিয়ায় কূটনৈতিক ভারসাম্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।

Another 'assassinated' Iranian general joins Tehran's mass funeral

IRGC Quds Force commander Esmail Qaani waves through sea of mourners

NYT had reported him killed by Israeli strikes at onset of 12-day war https://t.co/gSHeaT0SOT pic.twitter.com/8SDn6zRuOW

— RT (@RT_com) June 28, 2025