‘৫৫ টুকরো করে দেবো তোমাকে’, স্ত্রীর হুমকি শুনে স্বামীর কপালে ঘাম, প্রেমিককে সঙ্গে যেতে দিলেন স্ত্রী

উত্তরপ্রদেশের মাহোবা থেকে লোমহর্ষক একটি ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে এক মহিলা পাবজি মোবাইল গেমে এমন আসক্ত হয়ে পড়েন যে তিনি কেবল নিজের স্বামী ও সন্তানের জীবনই বিপদে ফেলেননি, বরং প্রেমের জন্য ঘর-সংসারও ছেড়ে দিয়েছেন। ঘটনাটি শহর কোতোয়ালি এলাকার ভাটীপুরা মহল্লার।
৩০ বছর বয়সী শীলু রাইকওয়ার এখানে তার পরিবারের সঙ্গে থাকেন। তিনি পেশায় একজন মিষ্টির কারিগর এবং তার নিজের একটি দোকান আছে। শীলুর বিয়ে ২০২২ সালে বান্দা জেলার মাটৌঁধের বাসিন্দা আরাধনার সঙ্গে হয়েছিল। প্রথমে সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু বিয়ের কিছু সময় পরেই আরাধনার পাবজি খেলার নেশা হয়ে যায়।
সারাদিন স্বামী দোকানে থাকতেন এবং স্ত্রী বাড়িতে মোবাইলে গেম খেলতেন। এই সময়ে আরাধনার সঙ্গে পাঞ্জাবের লুধিয়ানার বাসিন্দা শিবম নামে এক যুবকের বন্ধুত্ব হয়। এরপরই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
স্বামী শীলুর কথায়, আরাধনা আমার থেকে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছিল। বাড়িতে ঝগড়াও বেড়েছিল। এমনকি আরাধনা ছেলেকে মেরে তার উপর গার্হস্থ্য হিংসার মিথ্যা অভিযোগ করারও চেষ্টা করে।
হঠাৎ হাজির হলো স্ত্রীর প্রেমিক
পরিস্থিতি তখন চরম আকার ধারণ করে যখন আরাধনা স্বামীকে ৫৫ টুকরো করে ড্রামে ভরে ফেলার হুমকি দেয়। সে জানায়, যদি স্বামী তার প্রেমের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে সে তাকে মেরে ফেলবে। ভীত শীলু তার সম্পর্ক বাঁচানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু সম্প্রতি হঠাৎ আরাধনার প্রেমিক শিবম ৯০০ কিলোমিটার দূর থেকে লুধিয়ানা থেকে মাহোবায় চলে আসে এবং বাড়িতে এসে ব্যাপক হাঙ্গামা করে।
প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীকে যেতে দিলেন স্বামী
অসহায় হয়ে শীলু কোতোয়ালিতে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ শিবমকে শান্তিভঙ্গের অভিযোগে চালান করে, কিন্তু আরাধনা স্বামী ও তার শিশুসন্তানকে ছেড়ে প্রেমিক শিবমের সঙ্গে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এমন পরিস্থিতিতে শীলু নিজের ও ছেলের জীবন বাঁচাতে স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে চলে যেতে দেন। বর্তমানে পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে এবং শীলু তার ছেলেকে নিয়ে আলাদা থাকছেন।