চীনারা অবাক, ৮৩৫ কিমি রেঞ্জের এই ইলেকট্রিক গাড়িটির দাম টেসলার থেকেও কম

শাওমি তাদের নতুন ইলেকট্রিক SUV YU7 চিনে লঞ্চ করেছে, যার প্রারম্ভিক মূল্য ২,৫৩,০০০ ইউয়ান বা প্রায় ৩০.২৬ লাখ টাকা। SU7 সেডানের পর এটি শাওমির দ্বিতীয় গাড়ি। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, অসাধারণ পারফরম্যান্স এবং কাস্টমাইজেশনের অপশন।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, লঞ্চের মাত্র ১৮ ঘণ্টার মধ্যেই ২.৪ লাখেরও বেশি মানুষ এই গাড়িটি বুক করেছেন, যা বিশ্বব্যাপী যেকোনো ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য একটি বিশাল সাফল্য। এটি শাওমির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে। শুধু তাই নয়, দামের দিক থেকে এটি Tesla Model Y-এর থেকে প্রায় ৪% সস্তা।
Xiaomi YU7-এর ইন্টেরিয়র ও ফিচার্স
এই SUV-টির ইন্টেরিয়র অত্যন্ত বিলাসবহুল। এতে Pine Grey, Coral Orange এবং Iris Purple-এর মতো ডুয়াল-টোন সিটিং অপশন রয়েছে। সামনের আসনগুলিতে ১০-পয়েন্ট ম্যাসেজ ফাংশন এবং জিরো-গ্র্যাভিটি মোড আছে। পিছনের আসনগুলি ১৩৫ ডিগ্রি পর্যন্ত হেলানো যায়। এছাড়াও, এতে রয়েছে ১৬.১-ইঞ্চির টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে, স্মার্ট ডিমিং প্যানোরামিক সানরুফ, AI ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট (XiaoAI), ৪কে ক্যামেরা ও AI সেন্সর, Xiaomi Pad 7S Pro-এর জন্য সিট মাউন্ট ও প্রজেক্টর কানেক্টিভিটি, ২৫ স্পিকারের সাউন্ড সিস্টেম এবং একটি ছোট ৪.৬-লিটারের ফ্রিজ। iPhone ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ কানেক্টেড ফিচার রয়েছে, যার মাধ্যমে অ্যাকশন বাটন দিয়ে গাড়ি লক/আনলক করা যায়।
YU7-এর ডিজাইন ও কালার অপশন
শাওমি YU7-কে স্পোর্টি লুক দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে। এটি লো-স্লাং বডি এবং চওড়া রিয়ার অংশ নিয়ে এসেছে। এতে ৯টি কালার অপশন রয়েছে, যেমন Basalt Grey, Emerald Green, Dusk Purple এবং Dawn Pink। এতে ১৯-ইঞ্চির লং-রেঞ্জ অ্যালয় হুইল এবং ২১-ইঞ্চির পারফরম্যান্স হুইল রয়েছে, যেখানে Michelin টায়ার এবং স্পোর্টি ডিজাইন দেখা যায়। এতে একটি ফ্লোটিং শাওমি লোগোও রয়েছে।
প্রযুক্তি ও কমফোর্ট
শাওমির স্মার্ট চ্যাসিস সিস্টেমটি মসৃণ এবং প্রিমিয়াম। এতে ডাবল উইশবোন ফ্রন্ট ও ৫-লিংক রিয়ার সাসপেনশন, ডুয়াল-চেম্বার এয়ার স্প্রিংস এবং অ্যাডাপ্টিভ ড্যাম্পার রয়েছে। এর একটি বিশেষ ফিচার হলো “Motion Sickness Relief Mode”, যা যাত্রাপথে মাথা ঘোরা বা বমির সমস্যা ৫১% পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। এই ফিচারটি হাসপাতালের সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে।
YU7-এর ভ্যারিয়েন্ট ও পারফরম্যান্স
শাওমি YU7 তিনটি ভ্যারিয়েন্টে আনা হয়েছে। একটি স্ট্যান্ডার্ড (RWD), যার রেঞ্জ ৮৩৫ কিমি। একটি প্রো (AWD) ভ্যারিয়েন্ট, যার রেঞ্জ ৭৭০ কিমি। এবং একটি ম্যাক্স ভ্যারিয়েন্ট, যা একটি পারফরম্যান্স মডেল। এর সর্বোচ্চ গতি ২৫৩ কিমি/ঘণ্টা। এই ভ্যারিয়েন্টটি মাত্র ২.৯৮ সেকেন্ডে ০-১০০ কিমি/ঘণ্টা গতি তুলতে পারে। সবকটি ভ্যারিয়েন্টেই আল্ট্রা-ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট রয়েছে। ব্যাটারি ১২ বা ১৫ মিনিটে ১০% থেকে ৮০% পর্যন্ত চার্জ হয়ে ৬২০ কিমি পর্যন্ত রেঞ্জ দিতে পারে।