একসঙ্গে ২ মেয়ের আমন্ত্রণ, হোটেলে পৌঁছতেই শুরু হয় জঘন্য খেলা, ৩ দিন ধরে কাঁদলেন যুবক

রাজস্থানের বারমের থেকে টাকা-পয়সার লোভে সম্পর্ক এবং বিশ্বাসকে পদদলিত করার এক ঘটনা সামনে এসেছে। এই ঘটনার কথা যে-ই শুনেছে, সে-ই হতবাক। এখানে এক তরুণীর বাবা এবং তার কাকাতো ভাই তার নম্বর থেকে মেসেজ করে তার এক পরিচিত যুবককে ফাঁদে ফেলে।
এরপর তাকে বন্দি করে তিন দিন ধরে নির্যাতন করা হয়। তাকে মারধরও করা হয়।
এই ঘটনা বারমেরের শিবনগর এলাকার। পুলিশ ষড়যন্ত্রকারী কাকা-ভাইপোকে গ্রেপ্তার করেছে, যদিও অন্য এক অভিযুক্ত এখনও পলাতক। আসলে ঘটনাটি এমন— ২১ জুন রাতে এক ২৪ বছর বয়সি যুবক তার প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সে সময় তার কাছে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ আসে, যা তার পরিচিত এক তরুণীর ছিল।
রুমে পৌঁছেই যুবকের চোখ কপালে
মেসেজে লেখা ছিল যে, ‘আমরা দু-বোন আছি।’ একইসঙ্গে যুবককে মেসেজে শিবনগরে অবস্থিত একটি রুমে ডাকা হয়। যুবকটি আগে থেকেই তরুণীর পরিচিত ছিল, তাই তার কোনো সন্দেহ হয়নি। সে তরুণীর বলা ঠিকানায় পৌঁছে যায়। এরপর যেমনই সে রুমে প্রবেশ করে, তার চোখ কপালে ওঠে। রুমে না কোনো তরুণী ছিল, না তার বোন। সেখানে তার জন্য অপেক্ষা করছিল তরুণীর বাবা, তার কাকাতো ভাই এবং অন্য এক যুবক।
অভিযুক্তরা যুবককে বন্দি করে মারধর করে
তিন জন মিলে যুবককে ধরে ফেলে। তারপর তার সঙ্গে নির্মমতা শুরু করে। তাকে বন্দি করে মারধর করে। এরপর যুবককে মিথ্যা ধর্ষণের মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তরা যুবকের জামাকাপড় খুলে তার নগ্ন ছবি এবং ভিডিও তোলে এবং তা ভাইরাল করার হুমকি দেয়। পাশাপাশি অভিযুক্তরা তার কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
পরিবারের লোকেরা পুলিশকে খবর দেয়
যুবক অভিযুক্তদের কাছে এত টাকা নেই বলে আকুতি জানায়। এরপর অভিযুক্তরা পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। যুবক কোনোমতে নিজের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ভুক্তভোগী যুবকের পরিবারের লোকেরা বলে যে তারা ৫০ হাজার টাকা দেবে, কিন্তু অভিযুক্তরা পাঁচ লাখ টাকায় অনড় থাকে। শেষমেশ ভুক্তভোগী যুবকের পরিবারের লোকেরা পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ লোকেশন ট্র্যাক করে যুবককে উদ্ধার করে
পুলিশ ২৪ জুন যুবকের লোকেশন ট্র্যাক করে তাকে শিবনগর থেকে উদ্ধার করে, কিন্তু অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এরপর বারমের পুলিশ দল গঠন করে এবং শেষ পর্যন্ত কাকা-ভাইপোকে তাদের গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে দুজনেই তাদের অপরাধ স্বীকার করে নেয়। আপাতত পুলিশ তৃতীয় অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে।