যৌবন ধরে রাখার ওষুধ খাচ্ছিলেন শেফালি, স্বামী পরাগ ত্যাগীর বয়ান রেকর্ড করল পুলিশ

যৌবন ধরে রাখার ওষুধ খাচ্ছিলেন শেফালি, স্বামী পরাগ ত্যাগীর বয়ান রেকর্ড করল পুলিশ

‘কাঁটা লাগা গার্ল’ নামে পরিচিত অভিনেত্রী শেফালি জারIWala-র আকস্মিক মৃত্যুতে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুর পর মুম্বাই পুলিশ মামলার তদন্ত আরও জোরদার করেছে।

পুলিশ তাঁর স্বামী ও টিভি অভিনেতা পরাগ ত্যাগীর বয়ান তাঁদের বাড়িতে গিয়ে রেকর্ড করেছে।

স্বামী বললেন- আগে থেকেই চলছিল চিকিৎসা

পরাগ ত্যাগী পুলিশকে জানিয়েছেন যে, শেফালি বিগত কয়েক বছর ধরে তরুণী দেখাতে অ্যান্টি-এজিং ট্রিটমেন্ট নিচ্ছিলেন। তিনি নিয়মিতভাবে ভিটামিন C এবং গ্লুটাথিওন নামের ওষুধ খেতেন। এই ওষুধগুলি সাধারণত ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়।

চিকিৎসক দিলেন ব্যাখ্যা

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই ওষুধগুলির সঙ্গে হৃদরোগের কোনও সম্পর্ক নেই। এগুলি কেবল ত্বকের ওপর কাজ করে। চিকিৎসক আরও জানান, শেফালি পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন এবং তিনি কখনও কোনও গুরুতর অসুস্থতার কথা বলেননি।

এখনও পর্যন্ত ৪ জনের বয়ান রেকর্ড

মুম্বাই পুলিশ এখনও পর্যন্ত মোট চারজনের বয়ান রেকর্ড করেছে, যার মধ্যে দুজন গৃহকর্মী, একজন সিকিউরিটি গার্ড এবং পরাগ ত্যাগী রয়েছেন। শেফালির দেহ কুপার হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে এবং মৃত্যুর সঠিক কারণ তখনই নিশ্চিত করা যাবে।

সেলিব্রিটিদের মধ্যে শোকের ঢেউ

শেফালির আকস্মিক মৃত্যুতে টিভি ইন্ডাস্ট্রিতে শোকের ঢেউ নেমে এসেছে। রশ্মি দেশাই, আলি গোনি, কাম্য পাঞ্জাবি, দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠি এবং মিকা সিং সহ অনেক তারকা সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। হিমাংশী খুরানা তো এমনও বলেছেন, “বিগ বস হয়তো অভিশপ্ত…”

শেফালির ব্যক্তিগত জীবন

শেফালির এটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। তিনি প্রথমে ২০০৪ সালে হারমিত সিং (মিট ব্রাদার্স)-কে বিয়ে করেছিলেন, কিন্তু ২০০৯ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর ২০১৫ সালে তিনি পরাগ ত্যাগীকে বিয়ে করেন। তাঁদের দুজনকে একসঙ্গে টিভি শো-তেও দেখা গেছে। শেফালির মৃত্যুর কারণ হিসেবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের জল্পনা করা হচ্ছে, কিন্তু পুলিশ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং মেডিক্যাল হিস্ট্রি সামনে আসার পরেই আসল কারণ জানা যাবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *