মেয়েরদের খোঁটা দেওয়ায় বিরক্ত হয়ে ৪ কোটির সম্পত্তি মন্দিরে দান করলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা; পুরোহিত বললেন- এমনটা হয় না…

মেয়েরদের খোঁটা দেওয়ায় বিরক্ত হয়ে ৪ কোটির সম্পত্তি মন্দিরে দান করলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা; পুরোহিত বললেন- এমনটা হয় না…

তামিলনাড়ুর তিরুভান্নামালাই জেলার ৬৫ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত সেনা এস বিজয়ান তাঁর ৪ কোটি টাকার সম্পত্তি অরুলমিঘু রেনুগাম্বল আম্মান মন্দিরে দান করেছেন।

মেয়েদের ওপর রাগের কারণে তিনি এই পদক্ষেপ নেন, কারণ তাঁর মেয়েরা প্রতিদিনের প্রয়োজনের জন্য তাঁকে খোঁটা দিত এবং সম্পত্তি নিয়ে ঝগড়া করত। বিজয়ান সম্পত্তির কাগজপত্র মন্দিরের দানবাক্সে রেখেছিলেন। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই দান আইনত রেজিস্ট্রি করতে হবে, যার জন্য বিজয়ান প্রস্তুত। তাঁর পরিবার এখন সম্পত্তিটি ফিরে পাওয়ার জন্য আইনি উপায় খুঁজছে, কিন্তু বিজয়ান তাঁর সিদ্ধান্তে অনড়।

তামিলনাড়ুর তিরুভান্নামালাই জেলার ৬৫ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত সেনা এস বিজয়ান মেয়েদের ওপর অসন্তুষ্ট হয়ে তাঁর ৪ কোটি টাকার সম্পত্তি মন্দিরে দান করে দিয়েছেন। তিনি বলেন যে মেয়েরা তাঁর প্রতিদিনের প্রয়োজনের জন্যও তাঁকে খোঁটা দিত এবং সম্পত্তি নিয়ে ঝগড়া করত। কিন্তু এখন পরিবার এই সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার জন্য আইনি উপায় খুঁজছে।

কয়েকদিন আগে এস বিজয়ান অরুলমিঘু রেনুগাম্বল আম্মান মন্দিরে গিয়ে তাঁর সম্পত্তির কাগজপত্র দান করেন। এর মধ্যে ৩ কোটি টাকার একটি এবং ১ কোটি টাকার আরেকটি সম্পত্তি রয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ যখন মন্দিরের দানবাক্স পরীক্ষা করে, তখন এই বিষয়টি জানতে পারে।

মন্দিরের দানবাক্সে পাওয়া গেল সম্পত্তির কাগজপত্র

মন্দিরের দানবাক্স প্রতি দুই মাস অন্তর খোলা হয়, যেখানে ভক্তদের দেওয়া টাকা গোনা হয়। এবার যখন দানবাক্স খোলা হলো, তখন মুদ্রা ও নোটের মধ্যে সম্পত্তির আসল কাগজপত্র পাওয়া গেল। এর মধ্যে মন্দিরের কাছে ১০ সেন্ট জমির এবং একটি একতলা বাড়ির নথি ছিল। এর সঙ্গে একটি হাতে লেখা নোটও পাওয়া গেছে।

মন্দিরের কার্যনির্বাহী আধিকারিক এম সিলম্বরসন দ্য হিন্দুকে বলেছেন, “এখানে এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটল।” তিনি স্পষ্ট করেছেন যে দানবাক্সে কাগজপত্র রাখলে সম্পত্তি মন্দিরের হয় না। এর জন্য দাতাকে আইনত দানটি রেজিস্ট্রি করতে হবে।

রেজিস্ট্রেশন করতেও রাজি বিজয়ান

বিজয়ান বলেন, “আমি আমার সম্পত্তি আইনত মন্দিরের নামে রেজিস্ট্রি করিয়ে দেব। মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আমি এটা করব। আমি আমার সিদ্ধান্ত থেকে পিছপা হব না। আমার সন্তানরা আমার প্রতিদিনের প্রয়োজনের জন্যও আমাকে খোঁটা দেয়।”

বিজয়ান দীর্ঘকাল ধরে রেনুগাম্বল আম্মানের ভক্ত। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছে যে তিনি গত এক দশক ধরে স্ত্রীর থেকে আলাদা একা বসবাস করছেন। তাঁর মেয়েরা শুধু তাঁকে সমর্থনই করত না, বরং সম্প্রতি সম্পত্তি দখলের জন্য তাঁর ওপর চাপও দিচ্ছিল। বিজয়ানের এই সিদ্ধান্তে তাঁর পরিবার হতবাক। এখন তাঁর পরিবার এই সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার জন্য আইনি সাহায্য নিচ্ছে। কিন্তু বিজয়ান তাঁর সিদ্ধান্তে অটল। তিনি বলেন যে তিনি তাঁর বিশ্বাস এবং আত্মসম্মানকে সবার ওপরে রাখেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *