ভারতীয়, পাকিস্তানি না বাংলাদেশি… ডিম খাওয়ার দৌড়ে কে এগিয়ে?

ভারতীয়, পাকিস্তানি না বাংলাদেশি… ডিম খাওয়ার দৌড়ে কে এগিয়ে?

‘সান্ডে হো ইয়া মানডে, রোজ খাও আন্ডে’ – এই বিজ্ঞাপনটি আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন। খাদ্যতালিকায় ডিমের ব্যবহার বাড়ানোর উদ্দেশেই এই বিজ্ঞাপনটি তৈরি হয়েছিল। তবে আমাদের উদ্দেশ্য আপনাকে এই বিজ্ঞাপনটি মনে করিয়ে দেওয়া নয়।

বরং আমরা আপনাকে পরিসংখ্যানের মাধ্যমে জানাতে চাই যে ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয়রা তাদের প্রতিবেশী দেশগুলির চেয়ে এগিয়ে না পিছিয়ে আছে।

২০১৮ সালে ভারত ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে দিয়েছে

১৯৬১ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ ৬২ বছরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই পরিসংখ্যানের উৎস হল ‘আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডেটা’। ১৯৬১ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ভারতীয়রা পাকিস্তানিদের চেয়ে বেশি ডিম খেতেন। ১৯৭৭ সালে উভয় দেশ সমতায় আসে। ১৯৭৮ সালে ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তান ভারতকে ছাড়িয়ে যায় এবং তাদের এই আধিপত্য ২০১৩ সাল পর্যন্ত বজায় ছিল।

২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত উভয় দেশ ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে সমানে সমানে ছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে ভারত অবশেষে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে দেয়। ২০২২ সালে ভারতে মাথাপিছু বার্ষিক ডিমের ব্যবহার ছিল ৪.৬ কেজি, যেখানে পাকিস্তানে এই ব্যবহার ছিল ৩.৭ কেজি।

শুধু পাকিস্তান নয়, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপালের থেকেও এগিয়ে ভারত

হ্যাঁ, ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে ভারত অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলির থেকেও এগিয়ে আছে। ২০২২ সালে বাংলাদেশে মাথাপিছু বার্ষিক ডিমের ব্যবহার ছিল ৩.৬ কেজি, শ্রীলঙ্কায় ৩.৭ কেজি এবং নেপালে মাত্র ২ কেজি।

মনে করা হচ্ছে, ভারতে দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের সংখ্যা দ্রুত কমে আসা এবং খাদ্যে প্রোটিনের গুরুত্ব বাড়ার কারণে ডিমের ব্যবহার বেড়েছে।

প্রতিবেশীদের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও বিশ্ব গড়ের চেয়ে ভারতে ডিমের ব্যবহার অনেক কম

২০২২ সালে ভারতে মাথাপিছু বার্ষিক ডিমের ব্যবহার ছিল ৪.৬ কেজি, যেখানে বিশ্ব গড় হল ১০.৪ কেজি। অর্থাৎ, বিশ্বে মাথাপিছু বার্ষিক ডিমের ব্যবহার ভারতের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

খাবার ও পানীয়ের উপর ভারতীয় পরিবারগুলির খরচের ধরণ কেমন?

কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রকের ২০২৩-২৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্রামীণ ভারতে খাবার-দাবারের উপর মাথাপিছু মাসিক খরচ ১,৯৩৯ টাকা। অন্যদিকে, শহুরে ভারতে এই খরচ ২,৭৭৬ টাকা। একজন গ্রামীণ ব্যক্তি তার মোট মাসিক খরচের ৪৭ শতাংশ খাবার-দাবারের উপর ব্যয় করেন, যেখানে শহুরে ব্যক্তির জন্য এই পরিসংখ্যানটি ৪০ শতাংশ।

এবার বিভিন্ন খাদ্যপণ্যে খরচের ধরণ বোঝার চেষ্টা করা যাক।

সবচেয়ে বেশি খরচ পানীয়, স্ন্যাকস এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারের উপর

শহুরে ব্যক্তিরা তাদের মোট মাসিক খরচের ১১.১ শতাংশ পানীয়, স্ন্যাকস এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারের উপর ব্যয় করেন, যেখানে গ্রামীণ ব্যক্তিরা তাদের মোট মাসিক খরচের ৯.৮ শতাংশ ব্যয় করেন। অর্থাৎ, ফাস্টফুড, চিপস, সফট ড্রিংকের মতো জিনিসের উপর বেশি খরচ করা হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *