আইটিআর ফাইলিংয়ের সময়সীমা: ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হলো আইটিআর ফাইলিংয়ের সময়সীমা, জেনে নিন নতুন নিয়ম ও জরুরি নথি

অর্থবছর ২০২৪-২৫ (অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার ২০২৫-২৬)-এর জন্য আয়কর রিটার্ন (আইটিআর) দাখিল করার শেষ তারিখ এখন ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই বর্ধিত সময়ের সুবিধা সেই সব করদাতারা পাবেন যাঁদের অ্যাকাউন্ট অডিট করা হয় না – যেমন বেতনভোগী কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা।
তবে, যাঁদের আয় অডিটের অধীনে আসে, তাঁদের আগের নির্ধারিত সময়সীমা মেনে চলতে হবে।
আইটিআর জমা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নথি
আইটিআর দাখিল করার সময় সঠিক নথি সংগ্রহ করা অত্যন্ত জরুরি। এর ফলে ভুল এড়ানো যায় এবং আয়কর বিভাগের রেকর্ডের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া সহজ হয়।
প্রয়োজনীয় নথিগুলির মধ্যে রয়েছে:
ফর্ম ১৬ – বেতনভোগীদের জন্য টিডিএস-এর তথ্য।
সুদ শংসাপত্র – ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিস থেকে প্রাপ্ত সুদের বিবরণ।
ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট – সমস্ত লেনদেন এবং আয়ের নিশ্চিতকরণের জন্য।
ফর্ম ২৬এএস, এআইএস এবং টিআইএস – করের ছাড় এবং আয়ের বিস্তারিত বিবরণ।
ক্যাপিটাল গেইন স্টেটমেন্ট – যদি আপনি মিউচুয়াল ফান্ড বা শেয়ারে বিনিয়োগ করে থাকেন।
প্যান-আধার লিঙ্কিংয়ের প্রমাণ – এখন আইটিআর-এ আধার নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক।
সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ – আইএফএসসি কোড এবং অ্যাকাউন্ট নম্বর সহ।
বিদেশি বিনিয়োগ এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যও জরুরি
যদি আপনি বিদেশি সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করে থাকেন বা বিদেশে কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের স্বাক্ষরকারী হন, তবে সেই তথ্য আইটিআর-এ দেওয়া বাধ্যতামূলক। এর ফলে কর আইন লঙ্ঘন হয় না এবং ভবিষ্যতে যেকোনো আইনি পদক্ষেপ থেকে বাঁচা যায়।
কোন আইটিআর ফর্মটি বেছে নেবেন?
আইটিআর-১ (সহজ): যদি আপনার আয় ₹৫০ লাখের কম হয় এবং শুধুমাত্র বেতন, একটি বাড়ি এবং অন্যান্য উৎস থেকে আয় থাকে।
আইটিআর-২: যদি আপনার ক্যাপিটাল গেইন থাকে, একাধিক সম্পত্তি থাকে, বা বিদেশি আয় থাকে।
আইটিআর-৩ বা ৪: ব্যবসায়ী বা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য।
আইটিআর জমা দেওয়ার ৭টি সহজ ও জরুরি টিপস
সঠিক ফর্মটি বেছে নিন – আপনার আয়ের উৎস এবং কাঠামোর ভিত্তিতে সঠিক ফর্মটি নির্বাচন করুন।
পুরনো বনাম নতুন কর ব্যবস্থা – আপনার জন্য কোন কর ব্যবস্থা বেশি সুবিধাজনক, তা নির্ধারণ করুন।
সমস্ত নথি প্রস্তুত রাখুন – ফর্ম ১৬, ২৬এএস, এআইএস ইত্যাদি সংগ্রহ করে রাখুন।
অনলাইন বা অফলাইন টুল ব্যবহার করুন – যেমন Tax2win, ClearTax ইত্যাদি।
সময়সীমা মিস করবেন না – রিটার্ন দাখিল করার শেষ তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর।
গত বছর ফাইল করা বাকি আছে? – আইটিআর-ইউ ব্যবহার করে গত দুই বছরের জন্যও রিটার্ন দাখিল করতে পারেন।
দাখিল করার আগে যাচাই করুন – ব্যাঙ্ক ডিটেল, ট্যাক্স ক্রেডিট এবং আয়ের সঠিকতা যাচাই করুন।