শ্রাবণ শুরু হওয়ার আগে এই চারটি জিনিস অবশ্যই করুন; আপনার বাড়িতে সর্বদা মহাদেবের কৃপা বজায় থাকবে

শ্রাবণ শুরু হওয়ার আগে এই চারটি জিনিস অবশ্যই করুন; আপনার বাড়িতে সর্বদা মহাদেবের কৃপা বজায় থাকবে

হিন্দু ধর্মে শ্রাবণ মাসের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। শ্রাবণ মাসকে পবিত্র মাস বলে মনে করা হয়। এই মাসটি মহাদেবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত। এটি শ্রদ্ধা এবং ভক্তির প্রতীক। কিন্তু যদি আপনার বাড়িতে বাস্তু দোষ থাকে, তবে এই মাসে আপনি যত ভক্তিই করুন না কেন বা পূজা-অর্চনা করুন না কেন, তার ফল পাবেন না। কারণ যখন আপনার বাড়িতে বাস্তু দোষ থাকে, তখন সেখানে নেতিবাচক শক্তি তৈরি হয়। এই নেতিবাচক শক্তির কারণে আপনি আপনার কাজে সাফল্য পান না।

তাই শ্রাবণ মাস শুরু হওয়ার আগে কিছু জিনিস করা প্রয়োজন, যা আপনার ঘরের নেতিবাচক শক্তি দূর করে ইতিবাচক শক্তি তৈরি করবে। আসুন, জেনে নিই সেই জিনিসগুলো কী কী:

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: শ্রাবণ মাস শুরু হওয়ার আগে আপনার বাড়ি, বিশেষ করে আপনার ঠাকুরঘর, অবশ্যই পরিষ্কার করুন। আপনার ঘরের দেওয়ালে বা কোণে যেখানে মাকড়সার জাল জমেছে, সেগুলো সরিয়ে ফেলুন এবং ঘর পরিষ্কার রাখুন। যে বাড়ি পরিষ্কার থাকে, সেখানে দেবী লক্ষ্মীর বাস হয়। এমন বাড়িতে কখনো অর্থের অভাব হয় না। সেই বাড়ির ওপর দেব-দেবতাদের কৃপা সর্বদা বজায় থাকে। তাই শ্রাবণ মাস শুরু হওয়ার আগে আপনার বাড়ি অবশ্যই পরিষ্কার করুন।

বন্ধ ঘড়ি: যদি আপনার বাড়িতে দেওয়ালে বা অন্য কোথাও একটি বন্ধ ঘড়ি থাকে, তবে সেটি সেই অবস্থায় রাখবেন না। কারণ বন্ধ ঘড়িকে একজন ব্যক্তির খারাপ অবস্থার প্রতীক মনে করা হয়। এর ফলে বাড়িতে নেতিবাচক শক্তির প্রবেশ ঘটে। এমন পরিবেশে পূজা-প্রার্থনা করলে বিশেষ উপকার হয় না।

পুরনো ধর্মগ্রন্থ: যদি আপনার ঠাকুরঘরে ছেঁড়া বা পুরনো ধর্মগ্রন্থ থাকে, তবে সেগুলোও রাখবেন না। কারণ, এমনটা মনে করা হয় যে আপনি আপনার বাড়িতে যে ধর্মগ্রন্থ বা ধর্মীয় বই রাখেন, সেগুলো সব সময় ভালো অবস্থায় থাকা উচিত।

ভাঙা বা ক্ষতিগ্রস্ত মূর্তি: যদি আপনার ঠাকুরঘরে বা বাড়িতে কোথাও ভাঙা বা ফাটল ধরা কোনো মূর্তি থাকে, তবে সেটি বাড়িতে রাখবেন না। কারণ এমন মূর্তির সামনে করা প্রার্থনা ফলপ্রসূ হয় না। এমনটা মনে করা হয় যে শুধুমাত্র অক্ষত মূর্তি বা প্রতিমারই পূজা করা উচিত। এর ফলে বাড়িতে সর্বদা ইতিবাচক পরিবেশ বজায় থাকে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *