উত্তরপ্রদেশের লখনউতে পুলিশ এক ভণ্ড তান্ত্রিককে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে এক মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে। এক অসুস্থ মহিলার চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের সদস্যরা ওই তান্ত্রিককে বাড়িতে ডেকেছিলেন।

সেই সময় তান্ত্রিক চিকিৎসার নামে ওই মহিলাকে একটি ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে ওই ভণ্ড তান্ত্রিক মহিলাকে বশ করে তার পোশাক খুলতে শুরু করে। মহিলাও তার সব কথা শুনতে থাকে। তখনই তান্ত্রিক তার শ্লীলতাহানি শুরু করে। মহিলা প্রতিবাদ করতে শুরু করলে তান্ত্রিক তাতে কান দেয়নি।

শেষমেশ মহিলা চিৎকার শুরু করেন। তার আওয়াজ শুনে পরিবারের সদস্যরা ঘরে আসেন। সেই সময় মহিলা প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় ছিলেন। পরিবারের সদস্যরা তান্ত্রিকের কুকীর্তি বুঝতে পারেন। তারা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে আসে। তান্ত্রিককে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

ভেতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল

আশিয়ানা এলাকার এই ঘটনা। থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ছত্রপাল সিং বলেন, “মহিলা অসুস্থ থাকায় তার স্বামী ঝাড়ফুঁক করার জন্য এক তান্ত্রিককে ডেকেছিলেন। তান্ত্রিকের মনে খারাপ উদ্দেশ্য ছিল। তাই সে পরিবারের সবাইকে ঘরের বাইরে যেতে বলে। নিজের কুকীর্তি করার জন্য সে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং মহিলার উপর জাদুটোনা করে। তাকে প্রায় বিবস্ত্র করে দেয়। এই সময় মহিলা চিৎকার শুরু করেন। তখন তান্ত্রিক স্বামী-সহ পরিবারের সকল সদস্যকে ঘরে ঢুকতে বাধা দেয়।”

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়

পরিবারের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। অভিযুক্ত তান্ত্রিককে হেফাজতে নেয়। মহিলার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, অশ্লীলতা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।