এখানে দুর্গন্ধ আসছে, একই বাড়িতে পাওয়া গেল ১৯১টি মৃতদেহ; স্বামী-স্ত্রীর ভয়ংকর কাণ্ডে পুলিশও হতবাক, পুরো গ্রামের ঘাম ছুটে গেল

একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে, যা নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। একটি ফিউনারেল হোমের মালিক এবং তার স্ত্রীর এমন কর্মকাণ্ডে পুলিশও হতবাক হয়ে গেছে। ফিউনারেল হোমে সৎকারের জন্য আসা মৃতদেহগুলিকে দাহ না করেই এই ব্যক্তি ও তার স্ত্রী মৃত ব্যক্তির পরিবারকে নকল ছাই পাঠাতো।
তবে এই ঘটনা সামনে আসার পর এখন ওই দম্পতিকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়েছে, আদালত তাদের ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
ঘটনা সম্পর্কে আরও জানা গেছে, এটি আমেরিকার কলোরাডোর ঘটনা। কলোরাডোর রাজধানী ডেনভার থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে পেনরোজ নামের একটি ছোট শহরে এই ঘটনা ঘটেছে। এখানে ‘রিটার্ন টু নেচার ফিউনারেল হোম’ নামের একটি ফিউনারেল হোম হলফোর্ড নামের এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে চালাত। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে তার এই ফিউনারেল হোমে সৎকারের জন্য অনেক মৃতদেহ এসেছিল, কিন্তু সেগুলোর সৎকার না করে সেগুলোকে সেখানেই পচতে দেওয়া হয়েছিল এবং তাদের পরিবারকে নকল ছাই পাঠানো হয়েছিল।
এভাবে সামনে এল ঘটনা
একদিন ওই এলাকার এক ব্যক্তি পুলিশকে ফোন করে জানান যে এলাকায় প্রচণ্ড দুর্গন্ধ আসছে। ফোন পেয়েই পুলিশ তদন্তের জন্য সেখানে পৌঁছায়। দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে খুঁজতে তারা এই ফিউনারেল হোমে এসে পৌঁছায়। সেখানে একটি বাড়ির দরজা খুলতেই পুলিশ চমকে ওঠে। সেখানে একটি, দুটি নয়, মোট ১৯১টি মৃতদেহ পাওয়া যায়। এর মধ্যে অনেক মৃতদেহের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল, কিছু মৃতদেহ পচতে শুরু করেছিল। ঘরটি মৃতদেহে এতটাই ঠাসা ছিল যে পা রাখারও জায়গা ছিল না। অবশেষে পুলিশ এই ঘটনায় ফিউনারেল হোমের মালিককে গ্রেপ্তার করে।
তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মৃতদেহের অবমাননার দায়ে আদালত তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। এর পাশাপাশি ১,০৭০,৪১৩ ডলার জরিমানাও করা হয়েছে। সে মৃতদেহের সৎকারের জন্য প্রাপ্ত টাকা বিলাসবহুল জীবনযাপনে ব্যবহার করত এবং মৃতদেহগুলিকে একটি ঘরে ফেলে রেখেছিল।