তৃণমূলের অন্দরে ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের ‘শোকজ’ বিতর্ক নতুন মোড় নিয়েছে। কালীগঞ্জে বোমা হামলায় শিশু তামান্নার মৃত্যুর পর দলের অনুমতি ছাড়াই মৃতার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিতে গিয়ে পরিবার কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হওয়া এবং পরবর্তীতে দলীয় শোকজের মুখে পড়েছেন হুমায়ুন।¹ এই ঘটনায় এবার মুখ খুলেছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, যিনি ডেবরার বিধায়কের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ভরতপুরের বিধায়ক বলেন, “দল শোকজ করেছে, নিশ্চয়ই শোকজের উত্তর দেবে। দলের ডিসিপ্লিনারি কমিটি নিশ্চয়ই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। উনি বিধায়ক হয়েও বলছেন অরাজনৈতিক সংস্থা থেকে এসেছেন, কিন্তু উনি তো দলের বিধায়ক। ডেবরার বিধায়ক হঠাৎ কালীগঞ্জ কেন গেলেন?”

ভরতপুরের বিধায়ক আরও যোগ করেন যে এটি একটি স্পর্শকাতর ঘটনা হওয়ায় তিনি নিজে কালীগঞ্জ যাননি। তার এই মন্তব্যে ডেবরার বিধায়কের দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের ইঙ্গিত স্পষ্ট এবং দলের মধ্যে তার পদক্ষেপের অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সম্প্রতি কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পর বিজয় মিছিলে বোমা হামলায় তামান্নার মৃত্যু হয়। দলীয় নেতৃত্বকে না জানিয়ে ডেবরার বিধায়কের এই পদক্ষেপের কারণে তাকে শোকজ করা হয়েছে। এই ঘটনা তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নতুন করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।