ভয়ানক গল্প: ‘নদীটার ওপারে যেও না।’ লাঠিতে ভর দিয়ে ‘সেই’ বৃদ্ধ এল আর হঠাৎ…

কোঙ্কন যত সুন্দর, ততটাই ভয়ঙ্করও! শুধু দিন-রাতের পার্থক্য আছে। দিনের বেলা নক্ষত্রের সুখকর অভিজ্ঞতা দেওয়া কোঙ্কন রাতে সবার নক্ষত্রই ঘুরিয়ে দেয়। কিন্তু কখনও কখনও এমন ঘটনা ঘটার জন্য রাতের অন্ধকারের প্রয়োজন হয় না।
কোঙ্কন তার রক্ষকদের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। এখানকার রক্ষকরা তাদের নামের মতোই সেই সেই জায়গার রক্ষা করেন। তাদের প্রতি বছর সম্মানও দিতে হয়। সম্মান কম পড়লে মাথা কেটে দিতে বেশি সময় লাগে না। এমনই ভরা দুপুরে এক অদ্ভুত ঘটনা কোঙ্কনের দাপোলি তালুকে ঘটেছিল। ঘটনাটি খুব একটা ভয়ঙ্কর ছিল না, কিন্তু ভাবিয়ে তোলার মতো ছিল।
ভয়ানক গল্প: “ওকে বলেছিলাম, বাড়ি আসিস না…” শুনল না! আর তারপর রক্তে মাখা শরীর, পচা ক্ষত…
দীপ আর নিতেশ দুই খুড়তুতো ভাই! ছোট কাকার বিয়ের জন্য এই মুম্বইয়ের ছেলেগুলো গ্রামে এসেছিল। হলুদের দিন ছিল। কোঙ্কনের হলুদ মানেই ধুলো ওড়া! চিকেন-মাটনের স্তূপ জমেছিল আর রাতের জন্য বাড়ির পেছনের মাঠে পানের ব্যবস্থা চলছিল। দুপুর তখন প্রায় দুটো বাজে। এই দুই ভাইয়ের কিছু কাজ না থাকায় দুজনেই নদীর দিকে যাওয়ার জন্য বের হয়। বাড়ি থেকে নদীর দিকে যাওয়ার রাস্তা বেশ কঠিন! আর অনেক দূরের! গ্রামের বাইরে থাকা এই নদীর দিকে যাওয়ার জন্য পুরো পাহাড় নামতে হয়। চার-পাঁচটা খেতের বড় মাঠ পার হওয়ার পর রাস্তা নদীর দিকে এসে পৌঁছায়। এই পুরো পথ পেরিয়ে, দীপ আর নিতেশ নদীর ঘাটে এসে পৌঁছায়। ঠিক সেই সময়, লাঠিতে ভর দিয়ে গায়ে একটা কম্বল জড়ানো এক বৃদ্ধ লাঠির ঘুঙুর বাজিয়ে তাদের দিকে আসেন।
মুখে এক আকর্ষণীয় হাসির তেজ নিয়ে সেই বৃদ্ধ তাদের দুজনকে জিজ্ঞাসা করেন, “বাবারা, তোমরা কে? আর এখানে কী করছ?” দীপ তখন তাদের বলে যে, “বাবা, আমরা খোতের বাড়ির লোক। আমার কাকার হলুদ আছে।” তখন সেই বৃদ্ধ তাদের জিজ্ঞাসা করেন, “মানে তুমি রামখোতের নাতি?” তখন দীপ তাদের অস্বীকার করে তাদের দাদুর নাম বিষ্ণু বলে জানায়। বাবা হেসে বলেন যে, “আচ্ছা, তাহলে দাদু এখন কী করেন?” এমন অনেক আলোচনা তাদের মধ্যে চলে। কিছুক্ষণ পর সেই বৃদ্ধ ছেলেদুটিকে নদীর ওপারে না যাওয়ার জন্য বললেন এবং এগিয়ে গেলেন। দীপ আর নিতেশ চিন্তায় পড়ল যে সেখানে এত সুন্দর জায়গা আছে আর ইনি হঠাৎ করে সেখানে যেতে বারণ করলেন কেন? দীপ এর কারণ জিজ্ঞাসা করার জন্য পেছনে ঘুরল এবং দেখে তো কী “দূরদূর পর্যন্ত সেই বৃদ্ধকে দেখা যাচ্ছে না।”
“বুড়ি মরে গেছে… তবুও বেঁচে আছে!” তিন রাতের শিহরণ… সকালে মৃত্যু তো রাতে শরীর জেগে ওঠে
আগে অত্যন্ত ধীর গতিতে লাঠিতে ভর দিয়ে ভর দিয়ে আসা বয়স্ক ব্যক্তি হঠাৎ দ্রুত গতিতে এত বড় মাঠ কীভাবে পার করতে পারে? এমন অনেক প্রশ্ন তাদের দুজনের মনে এল। কিন্তু আসল কথা হল সেই বয়স্ক ব্যক্তি অন্য কেউ নয় বরং সেই জায়গার রক্ষক ছিলেন। যে জায়গায় তিনি সেই ছেলেদুটিকে যেতে বারণ করেছিলেন, সেই জায়গায় অনেক মানুষের ডুবে মৃত্যু হয়েছে। হয়তো সেই ছেলেদুটিকে রক্ষক এসে বুঝিয়ে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচিয়েছেন।