জগন্নাথ মন্দিরের খবর: ওড়িশার পুরীতে জগন্নাথের রথযাত্রা শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫ থেকে শুরু হয়ে গেছে। এই সময়ে লক্ষ লক্ষ ভক্ত ভগবান জগন্নাথ, বলভদ্র এবং বোন সুভদ্রার রথযাত্রায় যোগ দিতে পুরী আসছেন।

কিন্তু আপনি কি জানেন যে পুরীর জগন্নাথ মন্দির একজন পুরোহিতের একটি ভুলের কারণে ১৮ বছরের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে? চলুন, এ সম্পর্কে জেনে নিই।

পুরীর জগন্নাথ মন্দির রহস্য এবং অলৌকিকতায় পূর্ণ। মন্দিরের বিশাল শিখরের উপর প্রতিদিন প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে একটি বহু পুরোনো রহস্য গর্বের সঙ্গে উড়তে থাকে। এটি হলো মন্দিরের পতাকা, যা সবসময় বাতাসের বিপরীত দিকে ওড়ে।

শিখরের পতাকার বিশেষ গুরুত্ব

জগন্নাথ মন্দিরের শিখরে লাগানো এই পতাকাটি ‘পতিতপাবন বানা’ নামে পরিচিত। এই পতাকার আচরণ পুরীতে আসা সব মানুষকে অবাক করে দিয়েছে। শিখরের পতাকাটি বাতাসের দিকের বিপরীতে ওড়ে।

এটি একটি নিয়মিত অলৌকিক ঘটনা, যা সম্মান এবং পরীক্ষা উভয়ই করা হয়। ভক্তরা এটিকে ভগবান জগন্নাথের ইচ্ছার একটি অলৌকিক চিহ্ন মনে করেন, যা প্রতিদিন প্রকৃতির নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করে।

এই একটি ভুলে ১৮ বছরের জন্য তালা লাগতে পারে

প্রতি সন্ধ্যায় জগন্নাথ মন্দিরের পুরোহিত কোনো নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছাড়াই ২১৫ ফুট উঁচু এই মন্দিরের শিখরে উঠে পতাকাটি পরিবর্তন করেন এবং এর জায়গায় নতুন পতাকা লাগান। এই অবিচল ভক্তি ও নিষ্ঠার কাজটি শত শত বছর ধরে করা হচ্ছে।

বিশ্বাস অনুসারে, যদি একবারও এই রীতিটি বাদ পড়ে, তাহলে মন্দিরের দরজায় ১৮ বছরের জন্য তালা লেগে যেতে পারে।

বিজ্ঞানীরা বহুবার এই রহস্যময় ঘটনাটি বোঝার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছেন। কিছু লোকের মতে, মন্দিরের স্থাপত্য এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, সেই কারণেই মন্দিরের পতাকা বাতাসের বিপরীত দিকে ওড়ে। যদিও এর কোনো নিশ্চিত প্রমাণ নেই।

অন্যদিকে, জগন্নাথ রথযাত্রার সময় পতাকার আচরণ আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। পুরোহিতদের মতে, মন্দিরের পতাকা বাতাসের বিপরীত দিকে ওড়া কোনো ঐশ্বরিক শক্তির উপস্থিতির ইঙ্গিত দেয়।