কুম্ভমেলায় ৩০ হাজার টন আবর্জনা কোথায় গেল?

উত্তর প্রদেশে আবর্জনা নিষ্কাশনের নামে এক বড় দুর্নীতি চলছে। প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত মহাকুম্ভের সময়ও কো ম্পা নিগুলো আবর্জনা নিষ্কাশনের নামে ব্যাপক দুর্নীতি করেছে। ‘পর্দাফাশ নিউজ’ এর আগেও কুম্ভমেলায় হওয়া এই দুর্নীতি ফাঁস করেছিল।
এবার বিবিসি-র একটি রিপোর্টও এসেছে, যেখানে ধারাবাহিকভাবে আবর্জনা নিষ্কাশনের নামে হওয়া দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বিবিসি জিপিএস ট্র্যাকারের মাধ্যমে এই দুর্নীতির খেলা ফাঁস করেছে, যা থেকে স্পষ্ট যে, মহাকুম্ভের সময় আবর্জনা নিষ্কাশনের নামে শুধুমাত্র সরকারি অর্থ কর্মকর্তাদের বদান্যতায় কো ম্পা নিগুলো লুটে নিয়েছে।
জিপিএস ট্র্যাকারের মাধ্যমে দুর্নীতির পর্দাফাঁস
আসলে, বিবিসি তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে যে, সরকার অনুসারে, প্রয়াগরাজে আয়োজিত মহাকুম্ভে ৪৫ দিনে ৬৬ কোটিরও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। এই সময়ে প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন আবর্জনা উৎপন্ন হয়েছিল। এই আবর্জনার নিষ্কাশন কীভাবে করা হয়েছিল তা জানতে তাদের দল জিপিএস ট্র্যাকারের সাহায্য নেয় এবং জিপিএস ট্র্যাকারকে বিভিন্ন ধরনের আবর্জনার সাথে রেখে কুম্ভমেলার এলাকায় ছেড়ে দেয়।
প্রথমে জিপিএস ট্র্যাকারকে ডায়পার এবং দ্বিতীয়টিকে চিপসের প্যাকেটে রাখা হয়েছিল। এরপর জিপিএস ট্র্যাকার আবর্জনার সাথে প্রয়াগরাজের বাসওয়ার গ্রামের বর্জ্য নিষ্কাশন প্ল্যান্ট পর্যন্ত পৌঁছায়। অন্যদিকে, সরকারের দাবি যে, আবর্জনা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নিষ্কাশন করা হয়েছিল, কিন্তু বিবিসি দলের দাবি যে, যদি আবর্জনা নিষ্কাশন করা হতো, তাহলে জিপিএস ট্র্যাকারগুলো নষ্ট হয়ে যেত, কিন্তু আজও জিপিএস ট্র্যাকারগুলো সেখানেই বিদ্যমান।
নদীতে ফেলা হয়েছে আবর্জনা
সূত্র মতে, মহাকুম্ভের সময় আবর্জনা নিষ্কাশনের নামে বড় দুর্নীতি করা হয়েছে। আবর্জনা নিষ্কাশনের পরিবর্তে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, অনেক জায়গায় আবর্জনা গর্তে চাপা দেওয়া হয়েছে। যদিও, আবর্জনা নিষ্কাশনের কাজ করা কো ম্পা নিগুলো কর্মকর্তাদের সাহায্যে সরকারি কোষাগারকে ব্যাপক ভাবে লুটেছে।