প্রায়শই দেখা যায়, বাড়িতে সবকিছু ভালো চলছিল, কিন্তু হঠাৎ করে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়ে গেল। পরিবারের কোনো না কোনো সদস্য প্রায়ই অসুস্থ হচ্ছে। হঠাৎ করে যেন অর্থের আগমন থমকে গেছে। এমনটা হলে, সম্ভবত আপনার বাড়িতে কারও নজর লেগেছে।

আসলে, এই পৃথিবীতে সবকিছুই হলো শক্তির খেলা। যখন বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি থাকে, তখন ঘরে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। পরিবারের সকল সদস্যের মধ্যে ভালোবাসা ও সম্মান থাকে। কিন্তু, যখন কোনো কারণে নেতিবাচক শক্তি বেড়ে যায়, তখন একেই নজর লাগা বলা হয়।

তবে, জ্যোতিষশাস্ত্রে এমন অনেক উপায় বলা হয়েছে, যা কু-দৃষ্টির দোষ দূর করার জন্য বেশ কার্যকরী। যদি আপনিও বাড়িতে নেতিবাচক শক্তির উপস্থিতি অনুভব করেন বা পরিবারে অশান্তির পরিবেশ থাকে, তবে এই উপায়গুলো করতে পারেন।

বাড়িকে কু-দৃষ্টি থেকে রক্ষা করার জন্য এই উপায়গুলো করুন

লেবু-লঙ্কা

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, নজর দোষ থেকে বাঁচতে বাড়ির প্রধান দরজায় শনিবার একটি লেবু ও লঙ্কা ঝুলিয়ে দিন এবং প্রতি শনিবার একটি নতুন লেবু-লঙ্কা ঝুলিয়ে পুরোনোটি ফেলে দিন।

নুন-জল

বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, বাড়ির মেঝেতে জলের সঙ্গে নুন মিশিয়ে মুছলে ঘরের নেতিবাচকতা দূর হয় এবং পরিবারের সদস্যদের খারাপ নজর লাগে না।

কর্পূর জ্বালান

বাড়ির পরিবেশকে ইতিবাচক ও আনন্দময় করে তুলতে প্রতিদিন সকালে কর্পূর, লবঙ্গ এবং গরুর গোবর জ্বালান। এতে ঘরের সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূর হয়ে যাবে এবং ঘরের পরিবেশ পবিত্র হবে।

ময়লা জমতে দেবেন না

বাড়ির ছাদে বেশি ময়লা জমতে দেবেন না এবং ছাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে মনোযোগ দিন। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, বাড়ির ছাদে বেশি নোংরা ও আবর্জনা জমে থাকলে ঘরের নেতিবাচকতা বজায় থাকে।

ভুলে সাওয়ানে এই কাজগুলো করবেন না, মহাদেব শিবের কৃপা থেকে বঞ্চিত হবেন

ভাঙা আয়না

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ভাঙা আয়না ব্যবহার করলে নজর দোষ লাগে। তাই বাড়ির কোনো অংশে ভাঙা আয়না রাখবেন না। যত দ্রুত সম্ভব এটি বাড়ি থেকে বাইরে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করুন।

ভক্তির গান শুনুন

বাড়ির পরিবেশ ইতিবাচক ও আনন্দময় রাখতে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় ভক্তির গান শুনুন এবং ‘ওঁ’ জপ করুন। এতে বাড়ির ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পাবে।