রাতে গোলাপজলে ফিটকিরি মিশিয়ে লাগালে কী হয়? আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের থেকে জেনে নিন ত্বকে কেমন প্রভাব পড়বে

রাতে গোলাপজলে ফিটকিরি মিশিয়ে লাগালে কী হয়? আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের থেকে জেনে নিন ত্বকে কেমন প্রভাব পড়বে

ফিটকিরি বা অ্যালাম-এর অনেক উপকারিতা আছে। বিশেষ করে এটি ত্বকের জন্য খুব উপকারী বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে, গোলাপজলও বহু যুগ ধরে ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে গোলাপজলে ফিটকিরি মিশিয়ে মুখে লাগালে কী হয়?

বিখ্যাত আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক সেলিম জাইদি তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। এই ভিডিওতে তিনি এই ঘরোয়া পদ্ধতির কিছু দারুণ উপকারিতা সম্পর্কে বলেছেন। চলুন, সেগুলি জেনে নেওয়া যাক।

নম্বর ১ – ব্রণ ও ফুসকুড়ি থেকে মুক্তি

ডা. সেলিম জাইদি জানান, ফিটকিরিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান থাকে, যা ত্বকের ওপর থাকা ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ব্রণ দূর করতে পারে। অন্যদিকে, গোলাপজলের সুদিং ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাগুণ ত্বকের লালচে ভাব ও প্রদাহ কমায়। তাই, নিয়মিত এই মিশ্রণ ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার, স্বাস্থ্যকর এবং ব্রণমুক্ত হতে পারে।

নম্বর ২ – ত্বকের পোরস বা লোমকূপ ছোট হয়

এই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক বলেন, ফিটকিরির অ্যাস্ট্রিনজেন্ট গুণ ত্বককে টানটান করে লোমকূপ ছোট করতে সাহায্য করে। আবার, গোলাপজলেও হালকা অ্যাস্ট্রিনজেন্সি থাকে যা ফিটকিরির প্রভাবকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এর ফলে ত্বক মসৃণ, টানটান এবং তরুণ দেখায়।

নম্বর ৩ – তৈলাক্ত ত্বক বা অয়েলি স্কিন-এর ভারসাম্য বজায় থাকে

ফিটকিরি অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করে, যার ফলে ত্বকের তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে থাকে। অন্যদিকে, গোলাপজল ত্বককে ময়েশ্চারাইজড রেখে এটিকে তেলমুক্ত ও সতেজ রাখে। তাই, এই মিশ্রণ ত্বককে শুষ্ক না করেই তৈলাক্ততা নিয়ন্ত্রণ করে।

নম্বর ৪ – রোদে পোড়া ও ত্বকের জ্বালা থেকে আরাম

এগুলো ছাড়াও, গ্রীষ্মে রোদে পোড়া একটি সাধারণ সমস্যা। এই মিশ্রণে থাকা কুলিং প্রপার্টি ত্বককে তাৎক্ষণিকভাবে ঠান্ডা করে। ফিটকিরির নিরাময় ক্ষমতা ত্বককে সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। আর গোলাপজল জ্বালা কমায়, ফলে ত্বক দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যায়।

কীভাবে ব্যবহার করবেন?

এর জন্য এক চামচ ফিটকিরির গুঁড়ো নিন এবং এতে প্রায় ১০০ মিলি গোলাপজল মেশান।

দু’টি উপাদান ভালো করে মেশান, যতক্ষণ না ফিটকিরি পুরোপুরি গলে যায়।

এবার, রাতে মুখ ধোয়ার পর তুলোর সাহায্যে এটি মুখ ও ঘাড়ে লাগান।

ধীরে ধীরে বৃত্তাকার গতিতে মাসাজ করুন এবং সকালে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

যে বিষয়গুলি মনে রাখবেন

ডা. জাইদি বলেন, ত্বকে এই মিশ্রণ লাগানোর আগে অবশ্যই প্যাচ টেস্ট করুন। যদি আপনার জ্বালাপোড়া, লালচে ভাব বা চুলকানি হয়, তবে এটি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

অস্বীকৃতি: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনোভাবেই যোগ্য চিকিৎসার বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা কোনো বিশেষজ্ঞ বা আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। এনডিটিভি এই তথ্যের জন্য কোনো দায় স্বীকার করে না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *