শেফালি জারিওয়ালার শেষ ইচ্ছা কী ছিল? বললেন, ‘শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ‘কাঁটা লাগা গার্ল’

অভিনেত্রী ও মডেল শেফালি জারিওয়ালার মৃত্যুর খবরে সবাই হতবাক। ৪২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন শেফালি। জানা যাচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এই অভিনেত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
তবে তার মৃত্যুর আসল কারণ ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে। বর্তমানে শেফালির অনেক ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। শেফালির একটি সাক্ষাৎকারও এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে, যেখানে অভিনেত্রী নিজেই তার শেষ ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। এই মুহূর্তে সব জায়গায় শুধু শেফালির মৃত্যু নিয়েই আলোচনা চলছে।
ওই সাক্ষাৎকারে শেফালিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ‘সবাই আপনাকে ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ বলে ডাকে, এতে কি আপনি বিরক্ত হন?’ জবাবে অভিনেত্রী আনন্দের সঙ্গে উত্তর দেন। শেফালি বলেছিলেন, ‘কখনোই না… সারা বিশ্বে একজনই ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ আছে আর সেটা আমি… আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্তও যদি কেউ আমাকে ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ বলে, তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই…’
সাক্ষাৎকারের ভিডিওটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। ভিডিওতে ভক্তরা লাইক ও কমেন্ট করে শোক প্রকাশ করছেন। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অভিনেত্রীকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। অনেক সেলিব্রিটিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করেছেন।
শেফালির সম্পর্কে বলতে গেলে, অভিনেত্রী গত কয়েক বছর ধরে ছোট পর্দা থেকে দূরে ছিলেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি সবসময় সক্রিয় ছিলেন। শেফালি অনেক সিরিয়াল, সিনেমা এবং শোতে কাজ করেছেন। ‘কাঁটা লাগা’ গানের কারণে রাতারাতি তারকা হয়েছিলেন তিনি।
শুক্রবার শেফালির মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি, তবে তিনি হাসপাতালে পৌঁছানোর পর তার পরিবার বড় ধাক্কা খায়। তার মা দুঃখে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন এবং স্বামী পরাগ ত্যাগীকে হাসপাতালের বাইরে কাঁদতে দেখা যায়।
শেফালি জারিওয়ালার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুপার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তার আত্মীয়রা হাসপাতালে পৌঁছেছেন। তার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং ফিটনেস ট্রেনারও হাসপাতালে এসেছেন। তার ফিটনেস ট্রেনার জানিয়েছেন যে শেফালি স্বাস্থ্যের ব্যাপারে অত্যন্ত শৃঙ্খলাপরায়ণ ছিলেন। তিনি নিয়মিত ব্যায়াম করতেন, সঠিক ডায়েট মেনে চলতেন এবং ফিটনেস ছিল তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
দু’দিন আগে তিনি আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তিনি তার মৃগী রোগের কষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঠান্ডা খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলতেন এবং খিঁচুনি এড়াতে একটি নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলতেন বলেও জানান।