১০, ২০, ৫০ নয়, এতে আছে কয়েকশো বগি: বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেনে এফিলে টাওয়ারও এঁটে যাবে! কোনো যাত্রী বসে না

১০, ২০, ৫০ নয়, এতে আছে কয়েকশো বগি: বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেনে এফিলে টাওয়ারও এঁটে যাবে! কোনো যাত্রী বসে না

বিশ্বজুড়ে এমন অনেক বিস্ময়কর জিনিস আছে যা সম্পর্কে মানুষ অবগত নন। কেউ কেউ এগুলো জানার চেষ্টা করেন, আবার কেউ কেউ এগুলো এড়িয়ে চলে যান। এমনই এক অদ্ভুত ট্রেন সম্পর্কে আজ আমরা কথা বলতে যাচ্ছি।

যদি আপনার পাশ দিয়ে কোনো ট্রেন যায়, তবে কখনও কখনও মানুষ তার বগিগুলো গোনার চেষ্টা করে। সাধারণত দেখা যায়, প্যাসেঞ্জার ট্রেনের তুলনায় মালগাড়িতে বেশি বগি থাকে। কোনো ট্রেনে ৬০-৭০টি বগি থাকতে পারে, কিন্তু বিশ্বের একটি দেশে এমন একটি ট্রেন আছে যেখানে ৬০-৭০টি নয়, বরং কয়েকশো বগি আছে এবং এটি বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেন। আসুন, এর সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

এটি একটি মালবাহী ট্রেন
বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেনের নাম হলো ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান বিএইচপি আয়রন ওর’ (The Australian BHP Iron Ore)। এটি কোনো যাত্রীবাহী ট্রেন নয়, বরং একটি মালবাহী ট্রেন। ২০০১ সালের ২১ জুন প্রথমবার এই ট্রেনটিকে রেললাইনে চালানো হয়েছিল। এই ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে শুরু করে শেষ বগি পর্যন্ত এর দৈর্ঘ্য ৭.৩ কিলোমিটার। ৮টি লোকোমোটিভ ইঞ্জিন এবং ৬৮২টি বগি নিয়ে এই ট্রেনটি কয়লা পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হয়। এই মালগাড়িটি সম্পর্কে বলা হয় যে, এতে ২৪টি আইফেল টাওয়ারও এঁটে যেতে পারে। এই ট্রেনের ওজন প্রায় এক লাখ টন।

কেন এটি বিশেষ?
এই ট্রেনটি অস্ট্রেলিয়ার পিলবারা এলাকা থেকে চলাচল করে এবং এই মালগাড়িটির দৈর্ঘ্য ৭৩০০ মিটার। এই মালগাড়িটি মোট ৯৯,০০০ টনেরও বেশি লৌহ আকরিক পরিবহন করে। সবচেয়ে বিশেষ বিষয় হলো, এটি এআই নেভিগেশন (AI navigation) এবং রিয়েল-টাইম ডেটা অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে দূর থেকে পরিচালিত হয়। এই ট্রেনটি চালানোর জন্য কোনো লোকো পাইলট থাকে না।

এটি সত্যিই বিস্ময়কর!
‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান বিএইচপি আয়রন ওর’-এর আগে বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেন ছিল ‘মাউন্ট নিউম্যান রেলওয়ে’ (Mount Newman Railway), যা দক্ষিণ আফ্রিকায় চলতো। সেই ট্রেনের সবচেয়ে বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল যে, এটি মাত্র একজন লোকো পাইলট দ্বারা পরিচালিত হতো, যা সত্যিই বিস্ময়কর।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *