কলিযুগের শেষ রাতে কী ঘটবে? বিষ্ণু পুরাণের ৪টি ভবিষ্যদ্বাণী আপনাকে চমকে দেবে!

কলিযুগের শেষ রাতে কী ঘটবে? বিষ্ণু পুরাণের ৪টি ভবিষ্যদ্বাণী আপনাকে চমকে দেবে!

সাধারণ কথোপকথনে আমরা প্রায়শই ঘোর কলিযুগ নিয়ে কথা বলি। পৃথিবীতে বাড়তে থাকা পাপ বা অপরাধ দেখে মানুষ কলিযুগের চরম সীমা নিয়ে আলোচনা করে।

আজকের দুনিয়ায় আপনি প্রায়শই মানুষকে বলতে শুনবেন, কে জানে! কলিযুগ কবে শেষ হবে? চলুন, আমরা আপনাকে জানাই যে বিষ্ণু পুরাণে কলিযুগের শেষ রাত সম্পর্কে কী লেখা আছে।

কলিযুগের শেষ রাত কেমন হবে?
বিষ্ণু পুরাণে কলিযুগের সমস্ত পর্যায় সম্পর্কে লেখা হয়েছে। বিষ্ণু পুরাণের ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে, যখন কলিযুগ তার চরম সীমায় পৌঁছাবে, তখন প্রতিটি রাত আগের চেয়ে বেশি অন্ধকারময় হবে। এর অর্থ হলো কলিযুগের রাতগুলোতে পাপ এবং অপরাধ বাড়তে থাকবে। মানুষ আপনার চোখের সামনে দেখা জিনিসগুলোকেও নির্লজ্জভাবে মিথ্যা বলে দেবে। অন্যদিকে, কলিযুগের শেষ রাত সব রাতের চেয়ে বেশি দীর্ঘ হবে। কলিযুগের শেষ রাত এত অন্ধকারময় হবে যে প্রদীপ জ্বালালেও পর্যাপ্ত আলো হবে না। মানুষ এই রাত শেষ হওয়ার অপেক্ষায় অস্থির থাকবে, কিন্তু চারদিকে বিনাশের লক্ষণ দেখা যাবে।

কলিযুগের শেষ রাতে প্রকৃতি তার রুদ্র রূপ দেখাবে
কলিযুগের শেষ রাতে প্রকৃতি অস্থির হয়ে উঠবে। মুসুলধারে বৃষ্টি হওয়ার কারণে পৃথিবীতে সবখানে শুধু জল আর জল থাকবে। পুরো পৃথিবী জলমগ্ন দেখাবে। তীব্র বৃষ্টির সাথে ঝড়, তুফানে পুরো পৃথিবী তাণ্ডব করতে দেখা যাবে। মানুষের হৃদপিণ্ডের স্পন্দন বেড়ে যাবে। কলিযুগের শেষ রাত এত দীর্ঘ হবে যে এটি কোনো এক বছরের মতো মনে হবে।

কলিযুগের শেষ রাতে বেশিরভাগ মানুষ অসুস্থ থাকবে
কলিযুগের চরম সীমায় মানুষ শারীরিক ও মানসিকভাবে এত দুর্বল হয়ে পড়বে যে তাদের মধ্যে শারীরিকভাবে পরিশ্রম করার ক্ষমতাও থাকবে না। মানসিকভাবে মানুষ এতটাই দুর্বল হয়ে পড়বে যে কঠোর কথা শুনলেই অস্থির হয়ে যাবে। কলিযুগের শেষ রাতে যখন সবদিকে ভয়াবহ বৃষ্টি হবে, তখন মানুষ পালিয়ে বাঁচার চেষ্টাও করতে পারবে না, কারণ তাদের মধ্যে শক্তিই থাকবে না।

কলিযুগের শেষ রাতে খাদ্যের ভয়াবহ অভাব দেখা দেবে
কলিযুগের শেষ রাতে খাদ্যেরও তীব্র অভাব দেখা দেবে। বৃষ্টি, ভূমিকম্প, ঝড়ের আঘাত থেকে গুদামগুলোতে রাখা বেশিরভাগ শস্য ভেসে যাবে এবং বাকি শস্য খাওয়ার উপযোগী থাকবে না। কলিযুগের শেষ রাতে মানুষ ক্ষুধা-তৃষ্ণায় কাতর দেখা যাবে। ক্ষুধার কারণে মানুষের চিন্তা করার ক্ষমতা নষ্ট হতে শুরু করবে। মানুষের মধ্যে ক্রোধ, ভয়-এর মতো নেতিবাচক অনুভূতি জন্মাবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *