কেরলের স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের সুস্বাস্থ্য ও মানসিক চাপ কমানোর উদ্দেশ্যে জুম্বা ক্লাস চালু হতেই নতুন বিতর্কের জন্ম হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের এই উদ্যোগ পড়ুয়াদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির পাশাপাশি মাদকের নেশা থেকে দূরে রাখতে গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে কেরলের কিছু মুসলিম সংগঠন। কেরল সুন্নি যুবজন সঙ্ঘমের রাজ্য সম্পাদক আবদুসসামাদ পুক্কোত্তুর সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘জুম্বা নাচ আমাদের নীতি ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে।’ এই বক্তব্যের পর থেকে রাজ্যে জুম্বা ক্লাস নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। বহু স্কুলে ইতিমধ্যে জুম্বা প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গেলেও এই বিরোধিতার কারণে এর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এই উদ্যোগের সমর্থকরা জানাচ্ছেন, জুম্বা একটি শারীরিক কসরত যা নাচের মাধ্যমে পড়ুয়াদের মধ্যে সতেজতা ও উৎসাহ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। এটি তরুণদের মাদকাসক্তি থেকে দূরে রাখার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে বিরোধী সংগঠনগুলির দাবি, জুম্বা নাচের ধরন তাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই বিতর্ক এখন স্থানীয় জনগণের মধ্যে তীব্র আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। সরকার এই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেয় এবং জুম্বা ক্লাসের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে সকলের দৃষ্টি এখন মুখ্যমন্ত্রীর দিকে। এই ঘটনা কেরলের শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন বিতর্কের সূচনা করেছে।