সাবধান! আপনার বড় লেনদেনগুলির উপর কড়া নজর রাখে আয়কর বিভাগ, কীভাবে সেগুলি ট্র্যাক করা হয়, জেনে নিন বিস্তারিত

পুনে: আপনি যদি খুব বড় ধরনের লেনদেন করেন, তাহলে আপনার সতর্ক থাকা উচিত। কারণ আয়কর বিভাগ এই ধরনের লেনদেনগুলির উপর কড়া নজর রাখে। যদি আপনার আয় এবং লেনদেনের মাধ্যমে প্রদর্শিত জীবনযাত্রার মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখা যায়, তাহলে আপনি আয়কর বিভাগ থেকে নোটিশ পেতে পারেন।
তাই কোনো লেনদেন করার আগে সাবধানতা অবলম্বন করুন।
ব্যাংকগুলি আর্থিক লেনদেনের তথ্যের প্রধান উৎস। ব্যাংকের মাধ্যমে আয়কর বিভাগ আপনার আয় এবং ব্যয়ের উপর গভীরভাবে নজর রাখে। সমস্ত ব্যাংকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশেষ লেনদেনের তথ্য আয়কর বিভাগকে জানানো বাধ্যতামূলক। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকার বেশি জমা করেন, তাহলে ব্যাংক সেই তথ্য আয়কর বিভাগকে জানায়। একইভাবে, যদি আপনি নগদ টাকা দিয়ে ১০ লক্ষ টাকার বেশি ফিক্সড ডিপোজিট (FD) বা রেকারিং ডিপোজিট (RD) করেন, তাহলে ব্যাংক সেই তথ্য আয়কর বিভাগকে পাঠায়।
এভাবে ট্র্যাক করা হয়
আয়কর বিভাগ সেইসব লেনদেনের উপর বিশেষ নজর রাখে যা কোনো ব্যক্তির আয় অনুযায়ী সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই লেনদেনগুলি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি দ্বারা নিয়মিতভাবে স্টেটমেন্ট অফ ফাইন্যান্সিয়াল ট্রানজ্যাকশনস (SFT)-এর অধীনে নথিভুক্ত করা হয়। এটি আয়কর বিভাগকে অসঙ্গতি খুঁজে বের করতে সাহায্য করে। কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ৫০ লক্ষ টাকার বেশি জমা করা, ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বছরে ১০ লক্ষ টাকার বেশি পেমেন্ট করা, মিউচুয়াল ফান্ড, ডিবেঞ্চার, শেয়ারে আর্থিক বছরে ১০ লক্ষ টাকার বেশি বিনিয়োগ করা—এই সবকিছুর উপরই আয়কর বিভাগ নজর রাখে।
নোটিশ পেলে কী করবেন?
করদাতাদের নোটিশ এড়ানোর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সমস্ত রেকর্ড সম্পূর্ণ এবং নির্ভুল রাখুন। সময় মতো রিটার্ন ফাইল করুন। করমুক্ত আয় সহ আয়ের সমস্ত উৎস প্রকাশ করুন এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ইনভয়েস এবং তহবিলের উৎসের প্রমাণ সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংরক্ষণ করুন। যদি আপনি নোটিশ পান, তবে তা সাবধানে পড়ুন। এরপর স্বচ্ছ উত্তর দিন। যদি কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে আপনি একজন সিএ-এর কাছ থেকে পরামর্শও নিতে পারেন।