৩০ কোটি টাকা বেতন, কাজ শুধু সুইচ অন-অফ করা; তবুও কেউ এই চাকরি নিতে চায় না! কারণ…

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি একটি চাকরি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। কাজটি খুবই সহজ, শুধু আলো জ্বালানো আর নেভানো, আর তার জন্য বেতন ৩০ কোটি টাকা। শুনে আপনারও হয়তো মনে হয়েছে, ‘বাহ! এমন সুযোগ কোথায় পাওয়া যায়?’ কিন্তু এই লোভনীয় বেতনের আড়ালে এমন এক ভয়ঙ্কর বাস্তবতা লুকিয়ে আছে, যার জন্য কেউ এই চাকরি করতে রাজি হয় না।
লাইটহাউসের চাকরি
এখানে লাইটহাউস বা বাতিঘরের কথা বলা হচ্ছে। এটি সমুদ্রের মাঝখানে স্থাপিত একটি টাওয়ার, যা জাহাজকে নিরাপদে পথ দেখাতে সাহায্য করে। কিন্তু যেখানে এই বাতিঘরটি অবস্থিত, সেখানে শুধু শান্তি নেই, আছে চরম নির্জনতা এবং প্রাণঘাতী বিপদ। এখানে দিনের পর দিন নয়, বরং কয়েক মাস একা থাকতে হয়। আশেপাশে কেউ নেই। কোনো ফোন নেই, কাছাকাছি কোনো গ্রাম নেই, এবং কিছু সময় পর মানুষের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়।
এই চাকরির দাবি একটি ভাইরাল পোস্ট থেকে সামনে আসে, যেখানে বলা হয় যে মিশরের “জুমোন” নামক বাতিঘরে এই সুযোগটি পাওয়া যাচ্ছে। কাজ শুধু আলো অন-অফ করা, এবং তার জন্য ৩০ কোটি টাকা পাওয়া যায়। তবে, এই বাতিঘরের কোনো সরকারি অস্তিত্বের প্রমাণ নেই। তাই, অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে এই গল্পটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া একটি গুজব মাত্র।
আসল সত্য কী?
বাস্তবে, বাতিঘর রক্ষকের কাজটি একসময় খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কিন্তু এখন বেশিরভাগ জায়গায় এটি স্বয়ংক্রিয় হয়ে গেছে। কিছু দেশে এখনো এই কাজটি আছে, কিন্তু বেতন বছরে গড়ে $40,000 থেকে $60,000, অর্থাৎ প্রায় ৩৩ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা। কোটির অংকের বেতনের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
তবে, এই যে “আলো অন-অফ” করার কাজ, তা সত্যিই এত সহজ নয়। সমুদ্রের মাঝখানে ঝড়, বিশাল ঢেউ এবং একাকীত্বের সঙ্গে লড়াই করা মানসিকভাবে খুব ক্লান্তিকর। তাই, এত বেশি বেতন পাওয়ার কথা জানা গেলেও, সেই পরিবেশে থাকতে কেউ রাজি হবে এমনটা নয়।