ইটাওয়ায় কথাবাচক বিতর্কে ক্ষুব্ধ পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী, বললেন, ‘যদি সে অপরাধ করে থাকে তাহলে…’

ইটাওয়ায় কথাবাচক বিতর্কে ক্ষুব্ধ পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী, বললেন, ‘যদি সে অপরাধ করে থাকে তাহলে…’

পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী: উত্তর প্রদেশের ইটাওয়ায় গত ২১ জুন এক কথাবাচকের সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হয়। এই বিতর্ক থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যেই মধ্যপ্রদেশের ছতরপুরে অবস্থিত বাগেশ্বর ধামের মহন্ত পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর একটি বড় মন্তব্য সামনে এসেছে।

পণ্ডিত ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর বক্তব্য, তিনি ২৫ দিনের জন্য বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারেন, যা শুনে তিনি অত্যন্ত দুঃখ পেয়েছেন। একটি ভিডিও প্রকাশ করে ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী বলেন, “আমরা বিদেশে থাকার সময় ভারতে কিছু ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে একটি ঘটনা খুবই অদ্ভুত ছিল। সেটি হলো ইটাওয়ায় কথাবাচকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার।”

বাবা বাগেশ্বর বলেন, “বেদব্যাস, মহর্ষি বাল্মীকি, মীরা, সুরদাস, কবীরদাস, সবাই ভগবানের রঙে রাঙা ছিলেন। তাঁদের না জাতি জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, না ঠিকানা। তাঁদের বাণীই তাঁদের পরিচয় হয়ে উঠেছিল। ভগবানের নামই তাঁদের পরিচয় তৈরি করেছিল। কাক কর্কশ স্বরে কথা বলে, কিন্তু রামচরিতমানসে কালভুষণ্ডী মহারাজের মহিমা আছে। তাই জাতির কথা জিজ্ঞাসা করবেন না, জ্ঞান জিজ্ঞাসা করুন।”

বাগেশ্বর ধাম সরকার আরও বলেন, “ভগবানের কথা এবং সনাতনের ভাবনা কোনো বিশেষ জাতির নয়। ভগবানের বিষয়ে আলোচনা করার এবং ভগবানের কথা বলার অধিকার সবার আছে। এতে কেউ দোষী নয়, না কোনো হস্তক্ষেপ আছে।”

‘ভারত কীভাবে হিন্দু রাষ্ট্র হবে?’

ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী বলেন, “যদি ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানাতে হয়, তাহলে কি এভাবে সম্ভব হবে? না, হতে পারে না। ভগবানের নাম গান যে কেউ করতে পারে। গুরু নানক, মীরাবাই, রায়দাস, কবীরদাস, সবাই ভগবান রাম এবং শ্যামের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। আমাদের মনে হয় না এতে কিছু ভুল আছে।”

‘যদি সে অপরাধ করে থাকে, তাহলে আইনের সাহায্য নিন’

ইটাওয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী বলেন, “ইটাওয়ায় যা কিছু ঘটেছে, তা অবশ্যই নিন্দনীয়। যদি সে কোনো অপরাধ করেও থাকে, তাহলে আমাদের অবিলম্বে আইন-শৃঙ্খলা এবং বিচার ব্যবস্থার শরণ নেওয়া উচিত। নিজে বিচারক হওয়া উচিত নয়, যাতে বিদ্রোহ সৃষ্টি না হয়, জাতিভেদ না বাড়ে। বর্তমানে যে রাজনীতিবিদরা জাত-পাতের ভিত্তিতে নিজেদের রুটি সেঁকছেন, তাদের কড়া জবাব দেওয়া উচিত।”

নভেম্বরে ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর পদযাত্রা

তিনি আরও বলেন, “ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর জন্য জাতিভেদ থেকে উপরে উঠে রাষ্ট্রবাদের দিকে এগোতে হবে। এই প্রকল্প নিয়েই আমরা আগামী ৭ থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত গ্রাম-গ্রাম, গলি-গলি, দিল্লি থেকে বৃন্দাবন পর্যন্ত পদযাত্রা করব। যাতে ভারতের হিন্দু সমাজ জেগে ওঠে এবং জাতি-ভেদ, ছোঁয়াছুঁত থেকে উপরে উঠতে পারে।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *