‘অন্য সম্প্রদায়ের মেয়ের সঙ্গে যশ-এর সম্পর্ক ছিল’, দিল্লিতে যুবককে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে খুন, কারণ জানালেন মা

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে দিনের আলোয় এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তার স্কুটিটি রাস্তায় দাঁড়ানো এক ছেলের সঙ্গে সামান্য ধাক্কা লাগায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। এই সামান্য বিষয় নিয়েই প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক শুরু হয় এবং দ্রুত তা ঝগড়ার রূপ নেয়।
এরপর স্কুটি আরোহী ওই যুবককে হত্যা করা হয়। পুলিশ তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে, যাদের মধ্যে একজন নাবালক।
হৃদয়বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে গীতা কলোনিতে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। তারা ২১ বছর বয়সী মৃত যুবক যশকে শনাক্ত করে। যশ তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিল।
ষড়যন্ত্র করে যশকে হত্যা করা হয়েছে
যশ-এর মা রাখী জানান, যশকে ষড়যন্ত্র করে মারা হয়েছে। কারণ যশ-এর অন্য এক সম্প্রদায়ের মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। ছেলেটির মায়ের মতে, মেয়েটির পরিবারের লোকজন যশের বাবাকে তাদের কারখানায় গিয়ে প্রাণে মারার হুমকিও দিয়েছিল।
বন্ধুটি জানাল সেদিন কী ঘটেছিল
যশের সঙ্গে থাকা আমন জানায়, স্কুটির সাইড মিরর ছুঁয়ে যাওয়ায় ঝগড়া শুরু হয়। একজন ছেলে যশের মাথায় পিস্তল ঠেকায়। আর অন্যজন দৌড়ে গিয়ে আরও কয়েকজন ছেলেকে ডেকে আনে। সবার হাতে ছুরি ছিল। তারা যশকে রাস্তায়ই ছুরি মারে। এরপর আমি যশকে অটোতে বসিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু যশকে বাঁচানো যায়নি।
দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে তর্ক হয়
এদিকে, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, যশের স্কুটিটি রাস্তায় দাঁড়ানো এক ছেলের সঙ্গে সামান্য ধাক্কা লেগেছিল। এই সামান্য বিষয় নিয়েই প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক শুরু হয় এবং দ্রুত তা ঝগড়ার রূপ নেয়। ঝগড়ার সময় অভিযুক্তরা হঠাৎ করে ছুরি বের করে এবং যশকে পিছন থেকে এলোপাথাড়ি হামলা করে। গুরুতর আহত যশকে স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে কাছের হাসপাতালে নিয়ে যায়, কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়।
তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে
ঘটনার খবর পেয়ে গীতা কলোনি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তদন্ত শুরু করে। পুলিশ যশের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় এবং খুনের মামলা নথিভুক্ত করে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। শনিবার পুলিশ তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনার পর নিহত পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। যশের মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন অভিযুক্তদের বাড়ির তালা ভাঙার চেষ্টা করে, কিন্তু ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিয়ে লোকজনকে শান্ত করে।
পুলিশ জানায়, ২৭ জুন রাত ৯টা ৪১ মিনিটে আমরা হত্যাকাণ্ডের খবর পাই। এই ঘটনায় আমান, লাকি এবং একজন নাবালক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যশের পিঠের নিচের অংশে ছুরি মারা হয়েছিল।