৮০০ কেজি বিস্ফোরকে পাকিস্তান বিধ্বস্ত, ১৪ সৈন্য নিহত; ভারতের উপর অভিযোগ, এল কড়া জবাব

৮০০ কেজি বিস্ফোরকে পাকিস্তান বিধ্বস্ত, ১৪ সৈন্য নিহত; ভারতের উপর অভিযোগ, এল কড়া জবাব

ভারত রবিবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সেই বিবৃতিকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে যেখানে ওয়াজিরিস্তানে হওয়া আত্মঘাতী হামলার জন্য ভারতকে দায়ী করা হয়েছিল। বিদেশ মন্ত্রক এটিকে ‘ঘৃণাভরা’ বিবৃতি বলে উল্লেখ করেছে।

বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, “আমরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি অফিসিয়াল বিবৃতি দেখেছি যেখানে ২৮ জুন ওয়াজিরিস্তানে হওয়া হামলার জন্য ভারতকে দায়ী করা হয়েছে। আমরা এই বিবৃতিকে যে ঘৃণার যোগ্য, সেই ঘৃণা দিয়েই প্রত্যাখ্যান করছি।”

কী ঘটেছে?
শনিবার অর্থাৎ ২৮ জুন উত্তর ওয়াজিরিস্তানের একটি গ্রামে একটি আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলায় অন্তত ১৪ জন সৈন্য নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে শিশু ও মহিলাও রয়েছেন। এই হামলা এমন সময় হয়েছিল যখন এলাকায় কার্ফু জারি ছিল যাতে সেনাবাহিনীর চলাচল নিরাপদে হয়।

আপনাকে জানিয়ে রাখি, এই বিস্ফোরণে ৮০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল, যার ফলে আশেপাশের অনেক বাড়িরও ক্ষতি হয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মতে, হামলায় ১৩ জন সৈন্য নিহত এবং তিনজন সাধারণ নাগরিক আহত হয়েছেন। হামলার দায় স্বীকার করেছে হাফিজ গুল বাহাদুর গোষ্ঠী, যা পাকিস্তানি তালিবান (TTP)-এর সাথে যুক্ত একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।

পাকিস্তান ভারতের উপর অভিযোগ আনলো
পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদের বিবৃতিতে ভারতের উপর হামলার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ এনেছে কিন্তু কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেশ করেনি। ভারত এই ভিত্তিহীন অভিযোগকে লজ্জাজনক এবং ভিত্তিহীন বলে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

ভারতের অবস্থান স্পষ্ট
বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, “পাকিস্তানের উচিত বারবার ভারতের উপর দোষ চাপানোর পরিবর্তে তাদের দেশের মধ্যে থাকা সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক এবং উগ্রবাদী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।”

আপনাকে জানিয়ে রাখি, ওয়াজিরিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ অনেক নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনের ঘাঁটি বলে পরিচিত। পাকিস্তান আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এই সংগঠনগুলিকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করে আসছে। হাফিজ গুল বাহাদুর গোষ্ঠী পাকিস্তানে টিটিপি-র থেকেও বেশি বিপজ্জনক বলে মনে করা হচ্ছে, যা নিরাপত্তা বাহিনীর উপর ক্রমাগত হামলা চালিয়ে আসছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *