সাবধান! এই ৫টি নথি না থাকলে আপনার বাড়িতে চলতে পারে বুলডোজার! এখনই মনোযোগ দিন!

ঘর কেনা বা বানানোর সময় সামান্য ভুলও আপনার সারাজীবনের উপার্জনকে নষ্ট করে দিতে পারে। এমনকি, আপনার বাড়ি ‘বুলডোজার’ দিয়ে ভেঙে ফেলার সম্ভাবনাও থাকে। অনেকেই মনে করেন যে, যদি সম্পত্তির রেজিস্ট্রি আপনার নামে থাকে, তাহলে আপনি সেই সম্পত্তির মালিক হয়ে যান। তবে, এটি একটি বড় ভুল ধারণা, কারণ শুধু রেজিস্ট্রি মালিকানা হস্তান্তর করে, এটি প্রমাণ করে না যে আপনিই আসল মালিক।
যদি আপনার বাড়ি অবৈধ হয় বা আপনার কাছে সঠিক নথি না থাকে, তাহলে সরকার আপনার বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলতে পারে।
১. টাইটেল ডিড (Title Deed)
রেজিস্ট্রি ছাড়াও টাইটেল ডিড একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি। টাইটেল ডিড প্রমাণ করে যে, আপনাকে সম্পত্তি বিক্রি করা ব্যক্তিই আসল মালিক। যদি বিক্রেতার কাছে সম্পত্তির টাইটেল ডিড না থাকে, তাহলে সেই সম্পত্তি বিক্রি করার তার কোনো অধিকার নেই। এমন পরিস্থিতিতে সম্পত্তির বিতর্কিত হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে। ‘টাইটেল ডিড’ ছাড়া করা যেকোনো চুক্তি জালিয়াতি বলে বিবেচিত হতে পারে।
২. চেইন ডিড (Chain Deed)
রেজিস্ট্রি ছাড়াও চেইন ডিড একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি। চেইন ডিড থেকে এই তথ্য পাওয়া যায় যে, গত কয়েক বছর ধরে সম্পত্তি কার নামে ছিল বা কীভাবে এটি হস্তান্তর করা হয়েছিল। ‘চেইন ডিড’ ছাড়া করা যেকোনো চুক্তি জালিয়াতি বলে বিবেচিত হতে পারে।
৩. এনকাম্ব্রেন্স সার্টিফিকেট (Encumbrance Certificate)
আপনি যে সম্পত্তি কিনছেন, তার উপর কোনো আইনি মামলা বা ঋণ আছে কিনা, তা জানার জন্য এই সার্টিফিকেট অপরিহার্য। যেকোনো সম্পত্তি কেনার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে, সেই বাড়ির লেআউট এবং নকশা সংশ্লিষ্ট নগর নিগম বা কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমোদিত (পাস) হয়েছে। যদি বাড়ি অনুমোদিত পরিকল্পনা অনুযায়ী তৈরি না হয়, তাহলে এটিকে অবৈধ নির্মাণ বলে গণ্য করা হয় এবং এটি ভেঙে ফেলার জন্য বুলডোজার ব্যবহার করা যেতে পারে। তাই, এর জন্য আপনাকে এনকাম্ব্রেন্স সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয়।
৪. অনুমোদিত লেআউট এবং নকশা (Approved Layout and Map)
যেকোনো সম্পত্তি কেনার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে, সেই বাড়ির লেআউট এবং নকশা সংশ্লিষ্ট নগর নিগম বা কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমোদিত (পাস) হয়েছে। যদি বাড়ি অনুমোদিত পরিকল্পনা অনুযায়ী তৈরি না হয়, তাহলে এটিকে অবৈধ নির্মাণ বলে গণ্য করা হয় এবং এটি ভেঙে ফেলার জন্য বুলডোজার ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫. অকুপেন্সি সার্টিফিকেট (Occupancy Certificate – OC)
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা অকুপেন্সি সার্টিফিকেট (OC) জারি করা হয়। এই সার্টিফিকেট প্রমাণ করে যে, ভবনটি নিয়ম, প্রবিধান এবং অনুমোদিত পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্মিত হয়েছে। ভবনে বসবাস করা নিরাপদ। ওসি ছাড়া ভবনে বসবাস করা অবৈধ এবং এর ফলে বিদ্যুৎ ও জলের মতো মৌলিক সংযোগ পেতে সমস্যা হতে পারে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
সম্পত্তি কেনার আগে প্রপার্টি ট্যাক্স রসিদগুলি সাবধানে পরীক্ষা করা জরুরি। এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন যে, পূর্ববর্তী মালিক সম্পত্তি কর পরিশোধ করেছেন কিনা বা কোনো বকেয়া আছে কিনা।
এই সমস্ত নথি সঠিকভাবে পরীক্ষা করে আপনি আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকে সুরক্ষিত করতে পারেন এবং ভবিষ্যতে বড় সমস্যা এড়াতে পারেন।